নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ২২ ডিসেম্বর : কলমচৌরা থানার অন্তর্গত পশ্চিম পাড়া সীমান্ত এলাকায় নেশা কারবারীদের আক্রমণে ৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা সংকটজনক। আহতরা হলেন মোতালেব হোসেন, নূর হোসেন, হানিফ মিয়া অপরদিকে সুমন মিয়া, মামন মিয়া, জালাল মিয়া। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে হাঁপানিয়া ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনা সংগঠিত করে নেশা কারবারীরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পাড়ি দিয়েছে বলে খবর। ঘটনায়, উভয় পক্ষের তরফে স্থানীয় কলমচৌড়া থানায় মামলা পাল্টা মামলা করা হয়েছে। এবং সেই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তারের কোনো খবর নেই।
অভিযোগ সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রতিনিয়তই নেশা কারবারীরা নানা অসামাজিক কাজকর্মসহ স্থানীয় মানুষের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। নেশাখোর ও নেশা কারবারীদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই আক্রমণ নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে এর চরম রূপ পরিলক্ষিত হয়েছে। এলাকাকে নেশা মুক্ত করার জন্য স্থানীয় জনগণের তরফ থেকে পুলিশ প্রশাসন ও বিএসএফের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী এলাকা
নেশাখোর ও নেশাকারবারিদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। কলমচৌরা থানার অন্তর্গত পশ্চিম পাড়া সীমান্ত এলাকায় বসবাস করা রীতিমত কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতি রাতে এই সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে নেশা সামগ্রী, চিনি সহ বিভিন্ন সামগ্রী পাচার করা হয়। আর এই পাচার বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা।
এই সংঘর্ষের জেরে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ঘটনার পর আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাপানিয়া হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়েছে। আহত দুই যুবক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এলাকার বেশ কয়েকজন পাচারকারির নাম উল্লেখ করে জানায় তাদের আস্ফালনে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ। এই পাচারকারিদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনা সংগঠিত করার পর তারা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে এই পাচারকারিরা এলাকার বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছে। সীমান্ত এলাকায় এধরনের ঘটনায় সীমান্তরক্ষী বাহনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।