দুর্গাপুর, ২১ ডিসেম্বর (হি. স.) দুষণ ছাড়পত্র সহ বৈধ অনুমতি নেই। আর সেই অভিযোগ শহরের প্রানকেন্দ্রের বাসস্ট্যান্ডে দক্ষিনবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার (এসবিএসটিসি) বাস আটকে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপির যুব মোর্চা। বৃহস্পতিবার ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুর সিটি সেন্টার। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামল বিশাল পুলিশবাহিনী। অভিযোগ অস্বীকার করেছে এসবিএসটিসি।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে দুর্গাপুর শহরে একের পর এক নারি নির্যাতনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে শহরের আইনশৃঙ্খলা। এছাড়াও দুর্গাপুর ফুলঝোড়ে রঘুনাথ মুর্মু আদিবাসী স্কুলে এক আবাসিক ছাত্রের সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ওইসব অভিযোগ তুলে, একগুচ্ছ দাবীতে দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দেয় বিজেপির যুব মোর্চা। এদিন দুর্গাপুর সিটিসেন্টার বাসস্ট্যান্ডে জমায়েত হয় যুবমোর্চার কর্মী সমর্থকরা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষন ঘড়ুই। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে উপরাষ্ট্রপতির মিমিক্রি করে অপমান করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এদিন ওই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তারপর আচমকায় এসবিএসটিসি বাস আটকে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপির যুব কর্মীরা। চালককের কাছে বৈধ কাগজ পত্র দেখানোর দাবী করে। ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিজেপির বর্ধমান জেলা যুব সভাপতি প্রদীপ মন্ডল বলেন,” দুর্নীতির আঁতুড় ঘর রাজ্য পরিবহন নিগম। কয়েকদিন আগে কয়েক কোটি টাকার টিকিট বিক্রির তছরূপের অভিযোগ। টিকিট বিক্রিতেও দুর্নীতি হয়েছে। এছাড়াও সরকারি বাসে পলিউশনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তবুও রিনিউ না করিয়ে চলছে। এমনকি রেজিষ্ট্রশন ছাড়াও বেশ কিছু এসবিএসটিসি বাস রুটে চলছে। এসব সরকারি বাসে দুর্ঘটনা হলে, তার দায় কে নেবে। তাই বাস আটকে বিক্ষোভ হয়েছে।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে এসবিএসটিসির চেয়ারম্যন সুভাষ মন্ডল বলেন,” বিজেপি নির্বোধের মত আন্দোলন করেন। প্রতিদিন ফিটনেস দেখে ডিপো থেকে বাস বের করা হয়। এছাড়াও পরিবহন আইন মেনে বাস চলে।”
বিজেপি বিধায়ক লক্ষন ঘড়ুই বলেন,” দুর্গাপুর শহরে মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। একের পর ধর্ষনের ঘটনায় আতঙ্কিত শহরবাসী। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। সরকারি অনুদানে চলা আদিবাসী স্কুল পরিকাঠামো নেই। নোংরা ঝোঁপ জঙ্গলে স্কুল চলে। যার জেরে এক পড়ুয়ার সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে। তার প্রতিবাদে আজকে মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটশন দেওয়া হয়েছে। রাতের শহরে পুলিশ টহল বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।”