নয়াদিল্লি, ১৯ ডিসেম্বর (হি.স.): সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল আরও ৪৯ জন সাংসদকে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ অর্জুন রাম মেঘওয়ালের প্রস্তাবের পর ৪৯ জন সাংসদকে বরখাস্ত করা হয় লোকসভা থেকে। এই ৪৯ জনের মধ্যে রয়েছেন এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে, কংগ্রেসের মনীশ তিওয়ারি, শশী থারুর, মহম্মদ ফয়সল, কার্তি চিদম্বরম, তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব এবং দানিশ আলি প্রমুখ। এই নিয়ে মোট বহিস্কৃত সাংসদের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪১। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্য এই ১৪১ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এই সাসপেন্ড করার বিষয়ে কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারি, যিনি নিজেও সাসপেন্ড হয়েছেন, বলেছেন, “পার্লামেন্টকে সম্পূর্ণভাবে অবৈধ করা হয়েছে। এটি সংসদে সবচেয়ে কঠোর আইন পাসের কাঠামো তৈরি করা।” শিরোমণি আকালি দলের (এসএডি) সাংসদ হরসিমরত কৌর বাদল বলেছেন, “আমার কাছে কোনও শব্দ নেই। এই নতুন সংসদ ভবন তৈরি করার আগে তারা কী ভেবেছিল? তারা এটিকে গণতন্ত্রের কবরস্থান বানাতে চায়…আপনারা বিরোধীদের তাড়িয়ে দিয়েছেন। নতুন সংসদের জন্য একটি নতুন নিয়ম নির্ধারণ করা হচ্ছে – ঘুমের ওষুধ খান এবং এখানে আসুন কারণ আপনাকে মুখ খুলতে এবং প্রশ্ন করার অনুমতি নেই।”
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেছেন, “…এটা স্পষ্ট যে তারা একটি বিরোধী-মুক্ত লোকসভা চায় এবং তারা রাজ্যসভাতেও একই রকম কিছু করবে ৷ এই মুহুর্তে দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের ভারতে সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য শরণার্থী লেখা শুরু করতে হবে ৷ আমি মনে করি এটি সংসদীয় গণতন্ত্রের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।” সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ডিম্পল যাদব নিজের সাসপেনশন প্রসঙ্গে বলেছেন, “এটা সরকারের ব্যর্থতা।”