কল্যাণপুর, ৮ ডিসেম্বর : ৬ ডিসেম্বর কল্যাণপুরের হলংমুতাই এডিসি ভিলেজের হাজারীবাড়ি এলাকার জনজাতি গৃহবধূ জেসমিন দেববর্মা হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তাঁর স্বামী মিন্টু দেববর্মাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর স্ত্রীকে খুন করে মাটি চাপা দেওয়া বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা।
গত ৬ ডিসেম্বর কল্যাণপুরের হলংমুতাই এডিসি ভিলেজ এর হাজারীপাড়ায় বাসিন্দা জেসমিন দেববর্মা (২৭)-এর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ গত বুধবার হাজারীপাড়া ওই গৃহবধূর বাড়ী থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ঘন জঙ্গলে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা। পারিবারিক ঝামেলার ফলে দুই পুত্র সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ কে খুন করে তারই স্বামী মিন্টু দেববর্মা।
কিছুদিন যাবৎ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া হয়। জেসমিনের বাড়ী খোয়াইয়ের চাম্পাহাওর থানাধীন এলাকায়। স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার পর জেসমিন এর বাপের বাড়ির লোকজন এসে মিটমাট করে দেয় বলেও খবর। গত মঙ্গলবার সকালে স্বামী স্ত্রী মিলে যায় রাবার বাগানে। এরপর আবার ওই রাবার বাগান সংলগ্ন জঙ্গলে প্রচন্ড স্বামী স্ত্রীর প্রচন্ড ঝগড়া শুরু হয়েছিল। পুলিশের মতে সেই সময় ধারালো কিছু দিয়ে পর পর আঘাত করে খুন করা হয়েছে জেসমিন দেববর্মাকে। এরপর তার দেহ মাটি চাপা দিয়েছিল স্বামী। খবর পেয়ে এক্সেকিউটিভ মেজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে মাটির নিচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল । মৃতার কাকার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ফৌজদারি দন্ডবিধি ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে। বর্তমানে মৃতার স্বামী মিন্টু দেববর্মা পলাতক। তাঁর খোঁজে জোরদার তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিশ। পুলিশ মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে।
এ বিষয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা জানিয়েছেন, পুলিশী তদন্তে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত উত্তর মহারানীপুর এলাকা থেকে মিন্টু দেববর্মা গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর স্ত্রীকে খুন করে মাটি চাপা দেওয়া বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।