হাওড়া, ২৭ নভেম্বর (হি.স.): রবিবার গভীর রাতে হাওড়ায় রেজিস্ট্রি অফিসে অগ্নিকাণ্ডে রীতিমতো হইচই শুরু হয়। দমকলের দুটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকলের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন কাউন্সিলর। প্রশ্ন উঠেছে, নথি পোড়ানোর চেষ্টা নাকি নিছক দুর্ঘটনা?
হাওড়া আদালত চত্বরের পাঁচটি দোকানে আগুন লেগে যায়। প্রথমে আদালত লাগোয়া একটি লস্যির দোকানে আগুন লাগে। বাঁশ, ত্রিপলের অস্থায়ী দোকান হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে রেজিস্ট্রি অফিসের একাংশ।
খবর পেয়ে প্রথমে হাওড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। খবর যায় দমকলেও। দুটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। ঘণ্টাদুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর শৈলেশ রাই। তিনি বলেন, ‘‘ইলেকট্রিকের তার সর্ম্পূণ বেআইনিভাবে ওই জায়গায় রয়েছে। তাতেই আগুন লাগে। নিমেষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকল সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বলেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। রেজিস্ট্রি অফিসও বাঁচানো যেত না। হাওড়া আদালত চত্বরের বাকি অংশও বেঁচে গিয়েছে।’’
অগ্নিকাণ্ডে রেজিস্ট্রি অফিসের বেশ কিছু নথি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।