BRAKING NEWS

বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের অভিভাবক মহল

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ নভেম্বর : রাজধানী আগরতলা শহর এলাকার রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পরিবেশ ক্রমশ কলুষিত হচ্ছে। প্রতিনিয়তই চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। পরিকাঠামোর অভাবে ছাত্রছাত্রীরা জটিল সমস্যার সম্মুখীন। এসব সমস্যার সমাধানের দাবিতে আজ স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা করেছে অভিভাবকরা।

এদিনের এই বিক্ষোভ থেকে সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। নাহলে স্কুল তালা ঝুলাবেন বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

তাদের অভিযোগ স্কুলের চারদিকে নেই প্রাচির। গত কয়েক বছরে একাধিকবার চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। সম্প্রতি স্কুল থেকে ৪৭ টি বিদ্যুতিক পাখা নিয়ে যায় চোরের দল।সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো চুরির ঘটনা এভাবে লাগাতার সংঘটিত হলেও পুলিশের এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের টনক নড়ছে না। তাদের আরো অভিযোগ স্কুলের শৌচালায়গুলি অত্যন্ত অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন। এক প্রকার ভাবে অস্বাস্থ্যকর অবস্থা স্কুলের শৌচালয়গুলির। তাই দাবি করা হচ্ছে অবিলম্বে শৌচালায়গুলি পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা।

রাতের বেলা চুরির ঘটনা বন্ধ করতে নৈশপ্রহরীর ব্যবস্থা করা এবং সম্প্রতি চুরির ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে চোরদের গ্রেপ্তার করা। না হলে তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানান এদিন। এদিকে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর অভিভাবক জানান, তিনি দীর্ঘ নয় বছর ধরে স্কুলের এই সমস্যাগুলি প্রত্যক্ষ করছেন।

স্কুলে একজন সিকিউরিটি গার্ড পর্যন্ত নেই। স্কুলে পাকা ভবন দীর্ঘ ৩০ বছর পুরনো হওয়ায় নড়বড়ে হয়ে গেছে। ভূমিকম্প হলে যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় স্কুলে পড়াশোনা করতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। পার্শ্ববর্তী স্কুলগুলির উন্নয়ন হলেও এই স্কুলের কোন উন্নয়ন হয়নি। তাদের আরো অভিযোগ স্কুলে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক। প্রায় নয় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে স্কুলে। মাত্র ১৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারই চলছে স্কুলের পঠনপাঠন।

বিশেষ করে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠদানের জন্য মাত্র দুজন শিক্ষক রয়েছে। এবং সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের জনক বিষয় হলো স্কুলটি ইংরেজি মাধ্যম করা হলেও ইংরেজি বিশেষ কোন ক্লাস হয় না। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিভাবকরা জানতে চাইলে তাদের বলা হয় সমস্যাগুলোর সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অধিকর্তার গোচরে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে দপ্তর কিছু না করলে প্রধান শিক্ষকের কিছু করার নেই। এমনটাই জানান প্রধান শিক্ষকের সম্পর্কে এক অভিভাবক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *