আগরতলা, ২১ নভেম্বর : প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। পাকা বাড়ি নির্মাণের সময়ে পরিকাঠামোর উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। যাতে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিতে সহায়ক ভূমিকা নিতে পারে। এমনিতে সিসমিক জোনের স্পর্শকাতর জায়গায় অবস্থান করছে ত্রিপুরা। এর পাশাপাশি রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে বন্যার মতো দুর্যোগও হয়ে থাকে। এজন্য প্রশাসনিক স্তরে প্রস্তুতির পাশাপাশি জনসাধারণকেও সতর্ক থাকতে হবে। আজ আগরতলার রাজ্য অতিথিশালায় পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাংবাদিকদের নিয়ে আয়োজিত বিপর্যয় মোকাবিলায় কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলাশাসক সুভাষচন্দ্র সাহা একথা বলেন। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার।
অতিরিক্ত জেলাশাসক আরও জানান, এই কর্মশালার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা সম্পর্কে রাজ্যবাসীকে অবহিত করা। কর্মশালায় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির স্টেট প্রজেক্ট অফিসার ড: শরৎ কুমার দাস বিপর্যয় মোকাবিলায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। উপস্থিত ছিলেন গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের বাস্তুকার সুমিত মজুমদার।
কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ। দুর্যোগ মোকাবিলা সম্পর্কে সাংবাদিকদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে অবহিত করা হয়। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব, নেপালের ভূমিকম্প, কুমারঘাটে উল্টো রথের ঘটনা, জাতীয় সড়কে ভূমিধ্বস, রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত ভূমিকম্প সহ বিভিন্ন বিপর্যয় সম্পর্কিত বিষয়ে বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেন বিশেষজ্ঞ বক্তাগণ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যে কি কি ধরণের পরিকাঠামো রয়েছে সে নিয়েও আলোকপাত করা হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় আধুনিক সরঞ্জাম সহ এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্স, টিএসআর জওয়ান সহ সবগুলি জেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। কর্মশালায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে ৮০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।