মাতাবাড়ির দীপাবলি উৎসব ও মেলা জাতি জনজাতি অংশের মানুষের মিলনক্ষেত্র হিসেবেও পরিচিত: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১৩ নভেম্বর : মাতাবাড়ির দীপাবলি উৎসব ও মেলা জাতি জনজাতি অংশের মানুষের মিলনক্ষেত্র হিসেবেও পরিচিত। আগামীদিনেও এই উৎসব সম্প্রীতির বার্তা বহন করবে এবং এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনে সহায়ক ভূমিকা নেবে। গতকাল সন্ধ্যায় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে দীপাবলি উৎসব ও মেলার উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডাঃ) মানিক সাহা।

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে কল্যাণসাগরে কল্যাণ আরতিতে অংশগ্রহণ করেন ও ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের কাছে রাজ্যের কল্যাণে প্রার্থনা করেন। তারপর তিনি মন্দির সংলগ্ন ধন্যমাণিক্য মুক্তমঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে ৩ দিনব্যাপী দীপাবলি মেলার উদ্বোধন করেন।

দীপাবলি উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে শুভ শক্তির প্রার্থনায় প্রতিবছর দীপাবলি উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ সহ দেশ বিদেশ থেকে প্রতিবছর পুণ্যার্থীগণ এখানে সমবেত হন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ধর্মীয় পর্যটন ক্ষেত্রের বিকাশে বর্তমান সরকার আন্তরিক। মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ধর্মীয় পর্যটন ক্ষেত্রের বিকাশে সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।তিনি বলেন, এই মাতাবাড়ি মন্দিরে পুণ্যার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান, হোটেল ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সংখ্যা। অধিক সংখ্যায় পুণ্যার্থীদের আগমনের ফলে কর্মসংস্থানের পথও উন্মুক্ত হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাতাবাড়ির দীপাবলি উৎসবের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের ধারা এখনও বহমান। তাই দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে এটি একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তিনি বলেন, মাতাবাড়ির দীপাবলি উৎসব ও মেলা জাতি জনজাতি অংশের মানুষের মিলনক্ষেত্র হিসেবেও পরিচিত। আগামীদিনেও এই উৎসব সম্প্রীতির বার্তা বহন করবে এবং এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গঠনে সহায়ক ভূমিকা নেবে।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশের প্রত্যেকটি ধর্মীয় স্থানকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। প্রসাদ প্রকল্পে মাতাবাড়ি চত্বরে চলতে থাকা নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে এই মন্দিরের সৌন্দর্য আরও বাড়বে। এই উৎসব ও মেলায় পুণ্যার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এবার মেলা ২ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩ দিন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দীপাবলি উৎসব ও মেলা শুধুমাত্র সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের মেলা নয়, প্রত্যেক ধর্ম ও জাতির মিলন মেলা হচ্ছে এই দীপাবলি উৎসব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *