নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ নভেম্বর : রাজ্য থেকে নানা কৌশলে গাঁজা পাচার অব্যাহত রয়েছে। রাজ্য সরকার গাঁজা চাষ ও গাঁজা পাচার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও একাংশ অতি মুনাফা লোভিরা অধিক আর্থিক লাভালাভের কথা মাথায় রেখে গাঁজা চাষ এবং গাঁজা পাচার অব্যাহত রেখেছে।
রাজ্যে উৎপাদিত গাজা প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আকাশপথ সড়কপথ ও রেলপথে নানাভাবে পাচার হচ্ছে। এমনকি পোস্ট অফিস এবং রেল পার্সেল এর মাধ্যমেও গাঁজা পাচারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এই কৌশলে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে আগরতলা রেল স্টেশনে প্রচুর পরিমাণ গাঁজা সহ এক গাঁজা পাচারকারী পুলিশ ও আরপিএফ এর হাতে ধরা পড়েছে। ঘটনা বুধবার বিকেল নাগাদ।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিতে গিয়ে পুলিশে জানিয়েছে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট খবর আসে রেলে পার্সেল এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ গাঁজা পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই খবরের ভিত্তিতে পুলিশ এবং আরপিএফ জোয়ানরা রেলের পার্সেল কাউন্টারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছয়টি কাটন সহ এক ব্যক্তিকে আটক করে। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওই ব্যক্তি জানা এ কাটুন এর ভিতরে ফিল্টার এবং মিক্সার গেন্ডার মেশিন রয়েছে।
সন্দেহবশত পুলিশ সেগুলি খুলে দেখতে পায় সেগুলির ভেতরে প্রচুর পরিমাণ গাঁজা পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল। ছয়টি কাটনে মোট ৩১৯ কেজি গাঁজা ও তার করা হয়েছে। ৮৬ টি প্যাকেটে করে ওইসব গাঁজা পাচারের চেষ্টা করা হয়েছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস করে আগরতলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে করে নিউ জলপাইগুড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। এপারে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে গিয়ে পুলিশ জ্বালিয়েছে,
রেলের পার্সেলে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে ৩১৯ কেজি গাঁজা সহ আটক উত্তম পাল নামে এক পাচারকারী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেল পুলিশ গাঁজা পাচারের সময় আগরতলা রেল স্টেশনের পার্সেল বুকিং কাউন্টারের সামনে থেকে এগুলি আটক করে।