BRAKING NEWS

কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা, ৩১ অক্টোবর (হি.স.) : কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া না মেটালে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। যা নিয়ে আগামী ১৬ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে সভারও ডাক দিলেন মমতা।

বুধবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, “১৬ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোরে আমি পঞ্চায়েত, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ব্লক প্রেসিডেন্ট, সাংসদ, বিধায়ক সবাইকেই মিটিংয়ে আহ্বান জানিয়েছি। বেলা ১২টার সময় হবে বৈঠক। সেই বৈঠকেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নেব। যারা ১০০ দিনের কাজ করেছে, যাদের দিয়ে কাজ করানো হয়েছে, তাদের বকেয়া টাকা দিতে হবে। আর তা নাহলে আন্দোলন কিন্তু বৃহত্তর পর্যায়ে যাবে। ওই বৈঠকেই পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে।”

১২ নভেম্বর কালীপুজো। সেই কারণে কালীপুজো, দিওয়ালি এবং ভাইফোঁটার পরই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “এর পরে আবার ২০ নভেম্বর ছটপুজো আছে। তারপর আবার জগদ্ধাত্রী পুজোও আছে। সব মাথায় রেখেই ওই দিনগুলো বাদ দিয়ে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করা হবে। ১৬ তারিখই সেই চূড়ান্ত রূপরেখা ঘোষণা করা হবে।”

১০০ দিনের কাজের পাশাপাশি গ্রামীণ আবাসন, রাস্তার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ অর্থও যে মেলেনি, তা আবারও মনে করিয়ে দিলেন মমতা।

উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধরনা করেছে তৃণমূল। দলীয় সেই কর্মসূচিতে শামিল ছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। এমনকী বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তারপরও বরফ গলেনি। আর সেই কারণেই ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন রীতিমত হুমকির সুরে বলেন, এটা আমাদের প্রাপ্য, এটা আমাদের অধিকারের লড়াই। যতক্ষণ কেন্দ্র বকেয়া অর্থ না দিচ্ছে, আমরা ছাড়ব না।” এদিন গ্রামীণ আবাস যোজনার টাকা না দেওয়া নিয়েও কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ লক্ষ বাড়ির জন্য টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করে কেন্দ্র৷ এদিন সেই কথাও তুলে ধরেন তিনি৷ মমতার কথায় উঠে আসে এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়ানোর কথাও৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *