শিলচর (অসম), ১ নভেম্বর (হি.স.) : লরি বা যাত্রীবাহী গাড়ি নয়। এবার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বার্মিজ সুপারি পাচারে নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে পাচারকারীরা। তবে এতেও সাফল্য লাভ করতে পারেনি সুপারি সিন্ডিকেটের দল। বার্মিজ সুপারির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে কাছাড় পুলিশই আবার সাফল্য লাভ করেছে। মিজোরাম থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলার অন্তৰ্গত অসম-মিজোরাম সীমান্তবৰ্তী জোড়খালের গভীর জঙ্গল থেকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে ৫০০ বস্তা বাৰ্মিজ সুপারি। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করেছে ইঞ্জিন চালিত নৌকা। তবে এই অভিযানে কোনও পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি পুলিশের।
কাছাড়ের পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতো বলেছেন, এ ঘটনায় কোনও অবস্থায় রেহাই পাবে না পাচারকারীরা। সূত্র ধরে পুলিশের তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই পুলিশ সাফল্য লাভ করবে।
পুলিশের এক সূত্রে জানা গেছে, সোনাই নদী ধরে পাচারের খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে অভিযানে নামেন খোদ পুলিশ সুপার মাহাতো। এর পর পুলিশের অভিযানে সোনাই নদীর উজানে অসম-মিজোরাম সীমান্তের জোড়খালের গভীর জঙ্গল থেকে প্রায় ৫০০ বস্তা বার্মিজ সুপারি উদ্ধার হয়।
সূত্র জানিয়েছে, মিজোরামের ভাইরেংটিতে থেকে বার্মিজ সুপারি লরিতে বোঝাই করে ওই রাজ্যের সাইপাই, সাইপুম, তুইরেল হয়ে অসমে প্রবেশের পর লুকিয়ে রাখা হয় অসম-মিজোরাম সীমান্তের গভীর জঙ্গলে। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় পাচারের চেষ্টায় নিয়ে আসা হয় সোনাই উজানে। পুলিশের তদন্তকারী দলের অভিযানে ওই ইঞ্জিন চালিত নৌকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।