নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঞ্চনপুর, ২৬ অক্টোবর : স্বাধীনতার জন্য প্রান দিয়েছেন অনেকেই। কারো নাম ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে, কারো নাম আমরা জানিই না। প্রচারের আলো থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে দেশের জন্য প্রান দিয়েছেন অনেক বীর সেনা। এমনই এক স্বাধীনতা সংগ্ৰামী প্রয়াত পুলিন বিহারী বড়ুয়া। যিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। কাঞ্চনপুর এলাকার উন্নয়নে তার অবদান রয়েছে প্রচুর। কিন্তু নিজের কোন প্রচার করেন নি। ফলে এই প্রজন্ম ওনার নাম শুনেনি। এই স্বাধীনতা সংগ্ৰামীর ছেলে প্রয়াত। পুত্রবধূ দিন মজুরের কাজ করেন। সপ্তমী পুজোর দিন শ্রীরামপুর সার্বজনীন দূর্গাপূজা কমিটির উদ্যেগে সাংসদ রেবতী মোহন ত্রিপুরা এই প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীকে সন্মাননা প্রদান করেছেন। সম্মাননা তুলে দেওয়া হয় স্বাধীনতা সংগ্রামী পুলিন বিহারী বড়ুয়ার পুত্রবধূ রেনু বালা বড়ুয়ার হাতে। সপ্তমীর রাতে শ্রীরামপুর সার্বজনীন দূর্গা পূজা কমিটির এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি সুনীল বড়ুয়া, সমাজসেবি তাপসেন্দু নাথ, বিদ্যুৎ নাথ, গৌতম রায় পুজো কমিটির কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ সরকার প্রমুখ। কাঞ্চনপুর মহকুমার শ্রীরামপুর সার্বজনীন দূর্গাপূজা কমিটির কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ সরকার জানান ভারতের সাধারণ মানুষ কিছু বাছাই করা স্বাধীনতা সংগ্রামীকে চিনেন।
কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য তাদের সর্বস্ব দিয়েছিলেন এমন আরও হাজার হাজার অজ্ঞাত মুক্তিযোদ্ধারা ইতিহাসের বই থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে। অত্যাচারী ব্রিটিশ রাজ শাসকদের চোখে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য অনেক মুক্তিযোদ্ধা তাদের স্লোগান তুলতে সাহস করেছিলেন। ভারতের ইতিহাসে হারিয়ে গেছে ভারতের এই অজ্ঞাত মুক্তিযোদ্ধারা। ভারত ছাড়ো আন্দোলন,অসহযোগ আন্দোলন এবং চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন এই সব আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অথচ স্বাধীনতার পর তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে রয়ে গেলেন কাঞ্চনপুর মহকুমার অহল্যাপুর গ্ৰামের স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রয়াত পুলিন বিহারী।

