কলকাতা, ২৬ অক্টোবর (হি.স.) : আদালতের অনুমতির পরেও কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে জটিলতা অব্যাহত রইল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে, দফায় দফায় এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করলেও শেষপর্যন্ত কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে বৃহস্পতিবারও ব্যর্থ হল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টটরেট।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও কণ্ঠস্বর পরীক্ষার অনুমতি দিলেন না এসএসকেএমের সুপার। ইডি সূত্রে খবর, এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও কণ্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য যে শারীরিক অবস্থার প্রয়োজন, সেই জায়গায় এখনও নেই নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ওরফে কালীঘাটের কাকু। সেই অনুমতি দিতে গেলে, মেডিক্যাল বোর্ডের সবুজ সংকেত প্রয়োজন বলেও জানানো হয়েছে।
আর এই অবস্থায় তৈরি হওয়া জটিলতার জেরে কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার অনুমতির জন্য ডিরেক্টরের কাছে গেল ইডি। প্রসঙ্গত, ২ মাস ধরে এসএসকেএমে ভর্তি ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
গত ২৩ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ইডির অভিযোগ, একাধিক প্রভাবশালীর সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তথা কালীঘাটের কাকুর কথোপকথনের প্রমাণ তাঁদের হাতে রয়েছে। সেজন্যই প্রয়োজন কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা।
মূলত বাইপাস সার্জারির ২ মাস পার হয়ে গিয়েছে। এখনও এসএসকেএমে রয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এর মাঝেই আদালতের নির্দেশের পর, কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে সম্প্রতি এসএসকেএমে পৌঁছেছিলেন ইডি আধিকারিকরা।
‘বেসরকারি হাসপাতাল ছেড়ে দিলেও কেন এতদিন এসএসকেএমে সুজয়কৃষ্ণ ? কী চিকিৎসা চলছে? কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে সুজয়কৃষ্ণকে ?’ সুপারের কাছে জানতে চেয়ে বয়ান রেকর্ড করে ইডি।