(আপডেট) উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণে বিহারের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : রাষ্ট্রপতি

পাটনা, ১৮ অক্টোবর (হি.স.) : রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বুধবার বিহারের রাজধানী পাটনায়, বিহারের চতুর্থ কৃষি রোড ম্যাপ (২০২৩-২০২৮)-এর সূচনা করেছেন। এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেছেন, উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণে বিহারের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রপতির কথায়, বিহারের লোকসংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল কৃষি। বটোহিয়া ও বিদেসিয়া থেকে কাটনি ও রোপনী গান, বিহারের লোকসংস্কৃতি ও সাহিত্যের যাত্রা সমগ্র বিশ্বে নিজস্ব ছাপ ফেলেছে। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, বিহারের অর্থনীতির ভীত হল কৃষি। এই রাজ্যের অগ্রগতির জন্য কৃষিক্ষেত্রের সর্বাত্মক উন্নয়ন খুবই প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপতি মুর্মু আরও বলেছেন, বিহারের কৃষক ভাই ও বোনেরা চাষে নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য পরিচিত। এই কারণেই একজন নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ নালন্দার কৃষকদের “বিজ্ঞানীদের চেয়ে বড়” বলেছেন। এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করেও এখানকার কৃষকেরা ঐতিহ্যবাহী কৃষি পদ্ধতি ও শস্যের জাতগুলোকে সংরক্ষণ করেছেন। রাষ্ট্রপতির কথায়, গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এটি সমগ্র মানবতার অস্তিত্বের জন্য একটি সংকট। তবে এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষের ওপর। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জলবায়ু সহনশীল কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেছেন, বিহার হল ভগবান বুদ্ধ ও অশোকের ভূমি। তাঁরা সমগ্র মানবজাতিকে শান্তি ও সম্প্রীতির শিক্ষা দিয়েছেন। আপনারা এই পুণ্যভূমির বাসিন্দা, তাই আপনাদের কাছে আশা করা যায় এমন একটি সমাজের আদর্শ তুলে ধরবেন যেখানে বিদ্বেষ ও বিভেদের কোনোও সুযোগ নেই। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, কৃষি রোড ম্যাপ বাস্তবায়িত হচ্ছে এটা খুবই আনন্দের বিষয়। আমি আরও খুশি হব যখন বিহারকে উন্নয়নের প্রতিটি প্যারামিটারে একটি রোড ম্যাপ তৈরি করে ক্রমাগত উন্নতির পথে চলতে দেখা যাবে – তা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মাথাপিছু আয় বা সর্বোপরি সুখের সূচক হোক।