কলকাতা, ১৬ অক্টোবর (হি.স.) : পুজোর আগে রাজভবনে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন কুণাল ঘোষ। পুজোর আগে রাজ্যপালের হাতে বাংলার মিষ্টি ও উপহার তুলে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। দুজনের মধ্যে একান্তে প্রায় ৩৫ মিনিট কথা হয়।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, “কেরলের ওনাম উৎসবে রাজ্যপাল আমাকে মিষ্টি এবং উপহার পাঠিয়েছিলেন। তখনই ওঁকে বলেছিলাম, পুজোর আগে আমাকে সময় দিতে হবে। বাংলার মিষ্টি উপহার দেব রাজ্যপালকে।” তবে এই সাক্ষাৎ কি শুধুই সৌজন্যমূলক? সেই প্রশ্নই ঘুরছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।
সোমবার বিকেল সোয়া চারটে নাগাদ রাজভবনে যান কুণাল ঘোষ। দুজনের মধ্যে প্রায় ৩৫ মিনিট কথা হয়। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র সাফ জানিয়েছেন, “বিজেপির পাঠানো রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করলে সমালোচনা তো করবই। কিন্তু তা বলে সৌজন্য দেখাব না, সেটা তো হয় না।”
এর পরই তিনি জানান, কেরলের ওনাম উৎসবে প্রচুর মিষ্টি ও উপহার পাঠিয়েছিলেন সি ভি আনন্দ। তখনই তিনি পুজোর আগে উপহার দেওয়ার জন্য রাজ্যপালের কাছে সময় চেয়ে রেখেছিলেন। বাংলার মিষ্টি খাওয়াতে চেয়েছিলেন। সেইমতো এদিন তৃণমূল মুখপাত্রকে সময় দেন রাজ্যপাল। মিষ্টির পাশাপাশি বই ও পুজো বার্ষিকীও উপহার দিয়েছেন কুণাল।
এদিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত কয়েক বছর এই পুজোর উদ্বোধন করতেন রাজ্যপাল। এবার সেখানে আমন্ত্রিত শাহ।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই পুজোর উদ্বোধন চলাকালীন রাজ্যপালকে ত্রিসীমানায় দেখতে পাওয়া যায়নি। বরং সেই সময় রাজভবনে কুণাল ঘোষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সারলেন রাজ্যপাল। সংসদীয় রীতি (প্রোটোকল) অনুযায়ী দেশের প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনও রাজ্যে গেলে সেই রাজ্যের রাজ্যপাল বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। দ্বিতীয়ার বিকালে কলকাতা বিমানবন্দরেও দেখা যায়নি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।