BRAKING NEWS

যুদ্ধের ছবি তুলতে গিয়ে মৃত্যু হল রয়টার্সের সাংবাদিক

লেবানন, ১৪ অক্টোবর(হি.স.): যুদ্ধের ছবি তুলতে গিয়ে লেবাননে মৃত্যু হল রয়টার্সের এক সাংবাদিকের, জখম হলেন আরও ছয় সাংবাদিক। মৃত সাংবাদিকের নাম ইসাম আবদুল্লাহ। ভিডিয়ো সাংবাদিক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন রয়টার্সে। অন্যদিকে রয়টার্সের আরও দুই সাংবাদিক, আলজজিরার ২ সাংবাদিক সহ মোট ৬ সাংবাদিকও এই হামলায় জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বলা হচ্ছে, ইজরায়েলের দিক থেকে একটি মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তাতেই মৃত্যু হয়েছে ইসাম আব্দাল্লা নামে ওই সাংবাদিকের। ওই সংবাদংস্থার আরও দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। সংবাদসংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, লাইভ ভিডিয়ো সম্প্রচার চলছিল সেই সময়, ক্যামেরার পিছনে ছিলেন ওই সাংবাদিক।

ইজরায়েলের একেবারে সীমান্ত ঘেঁষে থাকা দক্ষিণ লেবাননের আলমা আল-সাহাব থেকে কাজ করছিলেন ওই সাংবাদিক। ছিলেন অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরাও। সেখানেই আচমকা মিসাইল এসে পড়ে। এই ঘটনার দায় ইজরায়েলের ওপরেই চাপিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাটি। ইজরায়েলের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

রাষ্ট্রসঙ্ঘে ইজরায়েলের প্রতিনিধি গিলাড এর্দান শুক্রবার এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা কখনও কোনও সাংবাদিককে মারতে চাই না। কিন্তু এটা যুদ্ধ পরিস্থিতি। এখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারে।”

সংবাদসংস্থা রয়টার্স ওই সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। রয়টার্স জানিয়েছে লাইভ ভিডিয়ো সিগন্যাল দেওয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন ইসাম আব্দাল্লা। একটি পাহাড়ের পাশে বসানো ছিল ক্যামেরা। আচমকা তাতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, ক্যামেরা কেঁপে ওঠে। তারপর দেখা যায় প্রবল ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ আর তার মধ্যে থেকে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের শব্দ। ওই সংস্থারই আরও দুই সাংবাদিক থায়ের আল সুদানি ও মাহের নাজেও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সাংবাদিক মাহের নাজে জানিয়েছেন, মিসাইল হানার ছবি ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করছিল সংবাদমাধ্যমগুলি। আর একটি নীচু পাথরের ওপর তখন বসেছিলেন ইসাম। আচমকা মিসাইলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর আরও একটি মিসাইল আঘাত করে ওই সাংবাদিকদেরই গাড়িতে। তবে ওই মিসাইল ইজরায়েল নিক্ষেপ করেছিল কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় সংবাদসংস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *