কলকাতা, ৭ অক্টোবর (হি.স.) :সিকিমে এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে, নিখোঁজ একশোর উপরে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকেও বহু মৃত্যুর খবর আসছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪০।
সিকিমের রংপো শহর কাদামাটির নীচে। পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সিকিমকে অর্থ সাহায্য দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে একেবারে উল্টো নীতি কেন্দ্রের। এনিয়ে এবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রবল বন্যায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গা ভেঙে গিয়েছে। উত্তরের যেসব জলার উপর দিয়ে তিস্তা গিয়েছে সেখানেই তার তাণ্ডব স্পষ্ট। সিকিমকে দেওয়া কেন্দ্রের অর্থসাহায্য নিয়ে শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, সিকিমকে কোটি কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ কিন্তু বাংলাকে কেন নয়? একই ধরনের তো বিপর্যয়?
রাতে বারবার হড়পা বান। ২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি। রাজ্য সরকারের তরফে ২৫ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হয়েছে জিটিএকে। সিকিমের ভাইবোনরা যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্থ সেই একই বিপর্যয়ের শিকার কালিম্পং ও দার্জিলিংয়ের মানুষজন। পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ চিকেন নেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ। রাজ্যের মন্ত্রী ও আইএএস অফিসারদের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
সেনা ও সিকিম সরকারকে আমরা সাহায্য করেছি এবং ভবিষ্যতেও তা করে যাব। কিন্তু একই ধরনের বিপর্যয়ের জন্য দার্জিলিং, কালিম্পং ও উত্তরবঙ্গের প্রতি এমন ভেদাভেদ কেন? আমরা ভিখারি নই। আমরা কেন্দ্রের কাছ থেকে একই ধরনের আচরণ চাই।
শুক্রবারই জিটিএর চেয়ারম্যান অনিত থাপা নবান্নে এসে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেও তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, সিকিমকে টাকা দেওয়া হচ্ছে তাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সিকিমের সঙ্গে একই রকম ক্ষয়ক্ষতি যেখানে সেই উত্তরবঙ্গেও কেন টাকা টাকা দেওয়া হবে না।
অনিত থাপা মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করেন যাতে রাজ্য সরকার কেন্দ্রে সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে। মুখ্যমন্ত্রী আস সেই কথাই বলেছেন। তাঁর স্পষ্ট কথা, দুর্যোগ সিকিমকে যেমন আঘাত করেছে তেমনি তছনছ করেছে দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের বিশাল এলাকাকেও। তাহলে কেন রাজ্যের জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে না কেন?