যোধপুর, ৫ অক্টোবর (হি. স.) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি ‘দ্য ভ্যাক্সিন ওয়ার’-এর কথা। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের যোধপুরে একটি জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা কোভিডের সময় কীভাবে দিন-রাত একত্রিত করে কাজ করেছেন তাই ওই ছবির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে।
দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-মত হিট হয়নি বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি ‘দ্য ভ্যাক্সিন ওয়ার’। হিট হয়নি বলা ভুল। বক্সঅফিসে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে ছবিটি। কোভিডকালের সেই দুঃসহ সময় ফের একবার হলে বসে দেখতে চাননি দর্শক। এবার সেই ছবিরই ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যোধপুরে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ওই ছবিটি দেখে ভারতীয়দের গর্বে বুক ফুলে উঠেছে। যোধপুরে এক সভা থেকে মোদী বলেন, “আমি শুনেছি দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার নামে একটি ছবি এসেছে। আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা কোভিডের সময় কীভাবে দিন-রাত একত্রিত করে কাজ করেছেন তাই ওই ছবির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। সব দিকগুলিই এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। ভারতীয়দের বুক ওই ছবি দেখে গর্বে ফুলে উঠেছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা কী কী করেছেন তাঁরা তা জানতে পেরে গর্বিত।”
এখানেই থামেননি তিনি। যোগ করেন, “বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের এভাবে তুলে ধরার জন্য আমি পরিচালকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।” প্রধানমন্ত্রীর তরফে এ হেন বার্তায় আপ্লুত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। মোদীর ওই বক্তব্যকে এস্ক মাধ্যমে তুলে ধরে তিনি পাল্টা ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, “ভারতীয় বিজ্ঞানীদের প্রধানমন্ত্রী যে এভাবে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তা দেখেও ভাল লাগছে… অনেক অনেক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলাম।”
প্রসঙ্গত, গত ২৮ সেপ্টেম্বর তেলুগু, তামিল ও হিন্দি ভার্সনে এই ছবি মুক্তি পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত ছবিটির মোট আয় ১০ কোটির মতো। ছবিটির বক্স অফিসে ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন পরিচালক। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “একটি বইয়ের দোকানে যদি প্লে বয় (অ্যাডাল্ট ম্যাগাজিন) ও ভগবদ গীতা এই দুই রাখা হয়, তবে প্লেবয়ের ১০০০ টি কপি বিক্রি হলে গীতার হবে ১০টি। তা বলে কি গীতাকে ফ্লপ বলা যায়?” সাফ জানিয়েছিলেন, বক্স অফিসের নম্বর নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন তিনি। হিন্দুস্থান সমাচার / কাকলি