খুব শীঘ্রই পিএম ই বাস পরিষেবা চালু করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার : পরিবহন মন্ত্রী

আগরতলা, ৪ অক্টোবর : খুব শীঘ্রই পিএম ই বাস পরিষেবা চালু করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। এর জন্য সারাদেশের বিভিন্ন শহরে শহরে নামানো হবে ১০ হাজার ই-বাস। সারাদেশের অন্যান্য শহরের মতো আগরতলা শহরেও চলবে ই-বাস। আজ সচিবালয়ে বৈঠকে দৃঢ় প্রত্যয়ের সুরে একথা বলেন পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

এদিন শ্রী চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দেশের ১৬৯টি শহরে ১০ হাজার বৈদ্যুতিক বাস চালানো হবে। এর পাশাপাশি দেশের ১৮১টি শহরে পরিকাঠামোর উন্নতি করা হবে। এই গোটা প্রকল্পে খরচ হবে ৫৭ হাজার ৬১৩ কোটি। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা দেবে কেন্দ্র। বাকি খরচ রাজ্যের।

তাঁর কথায়, পিএম ই-বাস সেবা প্রকল্পের একটি অবিচ্ছেদ্য বৈশিষ্ট্য হল ক্রয় এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেল গ্রহণ করা। তাই পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে চালানো হবে এই ই-বাস। এই সহযোগিতামূলক পদ্ধতির লক্ষ্য হল দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা। সারাদেশের অন্যান্য শহরের মতো আগরতলা শহরেও চলবে ই-বাস। আগরতলার পাশাপাশি অন্যান্য শহরেও ই-বাস চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

এদিন তিনি আরও বলেন, এই ই-বাস পরিষেবাকে সার্থকভাবে রূপায়িত করার জন্য দরকার এর সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিষয়ে আগাম প্রস্তুতির। ই-বাস চালুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাস ডিপোর পরিকাঠামোর উন্নতি করা খুবই প্রয়োজন, যাতে ই-বাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যার মুখোমুখি না হতে হয়। ই-বাস পরিষেবা চালু করার সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আজ সচিবালয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ই-বাস চালু করার জন্য বিভিন্ন বাস ডিপোতে মাল্টিমডেল ইন্টারচার্জ পরিষেবার খুবই প্রয়োজন।

রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের অন্যান্য শহরগুলিতে এই ই-বাস পরিবহণ পরিষেবা চালু হলে শহরের বাসিন্দারা আরও উন্নত পরিষেবা পাবেন এবং সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার আরও উন্নতি হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এই ই-বাস সার্ভিস শুরু হলে শব্দদূষণ এবং বায়ু দূষণ কমবে।

তিনি আরো বলেন, এই ই-বাস পরিষেবা চালু হলে এই প্রকল্পের আওতায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন অনেকেই। ফলে একদিকে যেমন পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি হবে তেমনই কাজও পাবেন বহু মানুষ। দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগটি পরিবেশগত স্থায়িত্ব এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কথা ভেবেই নিয়েছেন। আমাদের রাজ্যে, বৈদ্যুতিন পরিবহণ ব্যবস্থার প্রসারে এই প্রকল্পটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে। তাছাড়া, এটি জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব একটি পরিবহণ ব্যবস্থা রূপে আমাদের রাজ্যের শহরগুলির পরিবেশকে আরও উন্নত করে তুলবে।