নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনামুড়া, ৩ অক্টোবর:
বহিঃ রাজ্যে কলেজে ভর্তির নামে পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।এই প্রতারনার ফাঁদে পড়েছেন শুধুমাত্র সোনামুড়ায় প্রায় ৩০ জন। পাশাপাশি অপর একজন পড়ুয়া প্রতারিত হয়েছে উদয়পুরে বলে খবর। ঘটনা প্রকাশ্যের আসতেই মাথায় হাত প্রতারিত অভিভাবকদের।প্রতারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ বেঙ্গালুরুতে ডি ফার্মাতে ভর্তির নামে বক্সনগর পুটিয়ার এক ছাত্রীর অভিভাবকের কাছ থেকে দফায় দফায় টাকা নেয় উদয়পুরের আজার কাজি নামে এক যুবক। গত মে মাসে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় যুবক। কিন্তু টাকার কোন রিসিট না দেওয়ার মহিলার সন্দেহ হয়। প্রতারক জানায় আগস্ট মাসে ভর্তি করানোর সময় এলে বাকী টাকা কলেজেই দিতে হবে। সেই মোতাবেক আগস্ট মাসে ব্যাঙ্গালোরের যান মহিলা। কলেজে গিয়ে ঘুরিয়ে প্রতারক মহিলার কাছে থেকে ডোনেশন সহ অতিরিক্ত ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা দাবী করেছে ওই প্রতারককারী যুবক, এমনটাই অভিযোগ মিলেছে। মহিলা স্পষ্ট জানিয়ে দেন ডোনেশন দিয়ে তিনি মেয়েকে পড়াবেন না। প্রতারক তাদের নিয়ে যায় অপর একটি কলেজে। সেখানে গিয়ে আরো টাকা দাবি করে প্রতারক আজার কাজি। কলেজে ভর্তি করিয়ে মহিলা চলে আসেন। বিগত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর মেয়েকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয় টাকা না দেওয়ায়। এরপরই মহিলা প্রতারককে ফোন করে জানালে সে বি ফার্মাতে ওই ছাত্রীকে ভর্তি হতে বলে। মহিলা কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের হুশীয়ারি দিলে অপর একটি কলেজে ইস টু এস কোর্সে ভর্তি করায় প্রতারক যুবক। কিন্তু সেখানেও কলেজ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় টাকা না দেওয়ায় মেয়েকে রাখা সম্ভব হবে না। অভিযোগ সোনামুড়া, বক্সনগর এবং ধনপুর এলাকার বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই আজার কাজি নামের প্রতারক যুবকটি। অবশেষে বাধ্য হয়ে রাধা কিশোরপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকরা। তারা থানায় গিয়ে জানতে পারে অভিযুক্ত প্রতারক আজার কাজির বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল থেকে মামলা রয়েছে। প্রতারনা কান্ডে সে সিদ্ধহস্ত। বর্তমানে সে পলাতক বলে খবর। পুলিশ তাকে আটক করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত তার কোনো হদিস মেলেনি। ঘটনায় চিন্তিত প্রতারিত অভিভাবকরা। সংকটে প্রতারিত ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত।