আগরতলা, ২৩ সেপ্টেম্বর: বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই ময়দানে যত বেশি মানুষকে সমবেত করা যাবে, তত বেশি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে হটাবার জন্য লড়াইয়ের বার্তা সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও বেশি শক্তি জোগাবে। কারণ মানুষের স্বার্থে রক্ষা করতে গেলে বিজেপিকে সরকার থেকে হটাতে ছাড়া আর কোন পথ নেই।তাই এর জন্য ত্রিপুরায়ও মানুষকে রাস্তায় নামতে হবে। শনিবার আগরতলা টাউন হলে ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির রাজ্য কনভেনশনে বক্তব্য রেখে এই কথা বললেন পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার।এদিন বক্তব্য রেখে বলেন, ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ভোট বিভাজনের ফলে সরকারে আসতে পেরেছে। নাহলে বিজেপি সরকারে আসতে পারতো না। এবং উপনির্বাচন প্রসঙ্গে মানিক সরকার বলেন ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্র যেদিন থেকে তৈরি হয়েছে সেদিন থেকে সেখানে ভারতীয় মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি জয়ী হয়ে আসছে।কিন্তু এবার সেখানে আঠার হাজার ভোটের অধিক ভোট পেয়ে শাসক দল জয়ী হওয়ার পেছনে মূলত কারণ হলো মানুষকে ভোটে দিতে দেয়নি শাসক দল বিজেপি।
বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে কখনো বামফ্রন্ট জয়ী হতো, কখনো আবার কংগ্রেস জয়ী হতো। কিন্তু এবার জয়ের ব্যবধান অধিক হওয়ার পেছনে মূলত কারণ হলো সেখানে ধনপুরের মত ভোট দিতে দেয়নি বিজেপি। দুটি বিধানসভায় কেন্দ্রে বিজেপি মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়ার পেছনে মূলত কারণ হলো ২০২৩ নির্বাচন দিয়ে তারা বুঝতে পারছে মানুষ তাদের বিশ্বাস করছে না। তিনি আরো বলেন বিজেপি ভালো করেই জানতো যদি মানুষকে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে দেওয়া হয় তাহলে বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্র যেমন হাতছাড়া হবে তেমনি ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে জবরদস্তি কেড়ে নেওয়া ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি পর্যন্ত তাদের হাতছাড়া হবে।
তাই দলের সমস্ত নেতৃত্ব ঝাঁপিয়ে পড়ে এই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন প্রহসনে পরিণত করেছে বলে প্রহসনের অভিযোগ করলেন মানিক সরকার।আয়োজিত কনভেনশনে
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বক্তব্য রেখতে গিয়ে আগরতলা পুর নিগমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন। তিনি বলেন আগরতলা পুর নিগম সম্প্রীতি সম্পদ কর কয়েক গুণ বৃদ্ধি করে দিয়েছে।
যা আগামী দিন রাজ্যের অন্যান্য পুর নিগমে হবে। শুধু শহর এলাকাতেই নয় গ্রামীন এলাকাতেও এর প্রভাব পড়বে বলে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী।
টাউন হলে আয়োজিত এই দিনের কনভেনশনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যান্য নেতৃত্ব।