BRAKING NEWS

শিল্প উদ্যোগীদের সমস্যা নিঃসরণ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর মাইক্রোস মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ এর উদ্যোগে এবং জেলার শিল্প দপ্তরের সহযোগিতায় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আগরতলা , ৫ সেপ্টেম্বর :  ধর্মনগরের অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য স্মৃতিভবনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর মাইক্রো স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ এর উদ্যোগে জেলা শিল্প দপ্তরের সহযোগিতায় এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালায় হায়দ্রাবাদ থেকে প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জীব দে এবং জেলা শিল্প দপ্তরের ম্যানেজার মোহাম্মদ গুলাম সাদেক মিয়া সহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মশালায় চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের, আইটিআই এর ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের এবং সাংবাদিকদের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই কর্মশালায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি রূপায়ণের দিকগুলি এবং তার সুযোগ সুবিধা নিয়ে প্রজেক্ট ডিরেক্টর আলোচনা করেন। মূলত রিজার্ভ ব্যাংকের ক্রেডিট কাউন্সিলিং ইনস্টিটিউট যে প্রকল্প শুরু হয়েছে তা কি কি সুবিধা দিতে পারে তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। যদিও উত্তর পূর্বাঞ্চলে এখনো ক্রেডিট কাউন্সিলিং ইনস্টিটিউট শুরু হয়নি। প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জীব দে বলেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যের মধ্যে ইতিমধ্যে ছয়টি রাজ্যে তাদের কাজ শেষ হয়ে গেছে এখন ত্রিপুরাতে কাজ চলছে। চার সেপ্টেম্বর ধর্মনগর ৫ সেপ্টেম্বর বিলোনিয়া এবং ৬ সেপ্টেম্বর আগরতলাতে তিনটি কর্মশালা করে তাদেরকে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এখানে যারা শিল্প উদ্যোগী তারা কি কি সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে এবং কোথায় কোথায় তাদের শিল্পে কাজ করার জন্য অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে তা নিরশন করা হচ্ছে এই সংস্থার মুখ্য উদ্দেশ্য। অনেকেই বক্তব্য তুলে ধরেন যে জেলা শিল্প দপ্তর থেকে তাদের প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার পরও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অসহযোগিতায় তাদের শিল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কোথায় কোথায় বাস্তব আইন হয়েছে শুধুমাত্র তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে শিল্প দপ্তর তাদের সহায়তায় লাগেনি। কেউ কেউ জানিয়েছে এক বছর যাবত শিল্প দপ্তরে দৌড়াদৌড়ি করেও তাদের যে ঋণ নেওয়ার কথা তার কার্যকর হয়নি। অবশেষে তারা ব্যক্তিগত যোগ্যতায় ব্যাংকের ঋণ নিয়ে বর্তমানে একজন সফল ব্যবসায়ী। আলোচনা সভায় হায়দ্রাবাদ থেকে আশা কর্মকর্তা জানান কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় ঋণ গ্রহণ করলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাবসিটি পাওয়া যায় কিন্তু শিল্প দপ্তর এবং ব্যাংক গুলির মধ্যে কোথাও দূরত্ব রয়েছে যে কারণে শিল্প উদ্যোগীরা সময়মতো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প গুলি বাস্তবায়ন করতে পারছে না। এই দূরত্ব কিভাবে কমানো যায় তার জন্য এই কর্মশালার মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র সৃষ্টি করে আলোচনার মাধ্যমে যে ব্যবধান রয়েছে তার কমানোর চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *