রায়গঞ্জ, ৪ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : সাংবাদিক সম্মেলন করে রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে স্নাতক স্তরে ভর্তি নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরব হল এসএফআইয়ের জেলা কমিটি। সোমবারের সাংবাদিক সম্মেলনে এসএফআই থমবর্ষে ভর্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশও। যদিও রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট ভর্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ মানতে চায়নি।
এদিন এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক কুশান ভৌমিক জানান, এবছর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য বিভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্নাতক স্তরে ভর্তির চাপ এসে পড়েছে রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। এখনও অনেক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হতে পারেনি। তাই আমরা এর আগে একাধিকবার কলেজের অধ্যক্ষ এবং মহকুমা শাসককে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ার তালিকা এবং ভর্তি সংক্রান্ত কোনও বিষয় দেখতে পাচ্ছি না। তার অভিযোগ, গত ৩১ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় একটা নোটিশ দেওয়া হল, সেই নোটিশে লেখা ছিল যারা এখনও ভর্তি হতে পারেনি তারা ভর্তি হতে পারবে। কিন্তু প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য অনলাইনে পে করতে পারল না। বিকেল ৪টায় সময় দেখা গেল ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। এই ২৫০ জনকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বের নির্দেশ মতো অধ্যক্ষ ভর্তি করেছেন। অথচ বাইরের কোনও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হতে পারল না। আমরা ভর্তি প্রক্রিয়ার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালতে যাবো। কারণ যোগ্য ছাত্র-ছাত্রীদের জায়গায় অযোগ্যরা ভর্তি হয়েছে।
যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা রিংকু দাস। তিনি বলেন, এসএফআইয়ের অভিযোগ পুরোপুরিভাবে ভিত্তিহীন। আমরা সারা বছর কলেজ গেটে থেকে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ করি। ওদের কোনও সংগঠন নেই। ভর্তি হয়েছে অনলাইনে, এক্ষেত্রে দুর্নীতি হতেই পারে না। ৩১ আগস্ট ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী তারা ভর্তি করেছে তা মানতে চাননি।
যদিও ভর্তি না হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, কাউন্সেলিংয়ের ২৪ ঘন্টা সময় দিতে না দিতেই অনলাইনে ভর্তির তালিকা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে নেটের সমস্যা থাকায় নির্দিষ্ট সময় জানা যাচ্ছে না।
এবিষয়েরায়গঞ্জের মহকুমাশাসক কিংশুক মাইতি জানান, যারা ভর্তি হতে পারেনি তারা যদি নির্দিষ্ট প্রমাণ সহ জানায় অবশ্যই সমাধান করা হবে। এজন্য কোনও সংগঠন সার্বিকভাবে অভিযোগ জানালে তা সমাধান করা সম্ভব নয়। যারা আমার কাছে এসেছিলেন তাদের আমি অধ্যক্ষের কাছে উপযুক্ত প্রমাণ সহ জানাতে বলেছি ।