BRAKING NEWS

স্ত্রী সন্তানকে রেখে পরকিয়ায় মেতে উঠেছে এক সরকারি কর্মচারী 

আগরতলা, ২৮ আগস্ট।। স্ত্রী সন্তানকে স্ত্রীর বাবার বাড়ি পাঠিয়ে বাড়ির বড়দেরকে অন্যত্র সরিয়ে দিয়ে ধর্মনগরের শাকাই বাড়ির ১ নং ব্রিজ সংলগ্ন এক সরকারি মহিলা কর্মচারীর সাথে অসংলগ্ন অবস্থায় ঘরের মধ্যে এলাকাবাসীদের হাতে ধরা পরল উত্তর জেলা শাসকের অফিসের কর্মরত বিজয় দেবনাথ নামে এক ব্যক্তি।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় বিজয় দেবনাথ বর্তমানে জেলা শাসকের অফিসে কর্মরত সে ১১ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিল থানা রোডের কে সি নাথ লেনের রুমি শর্মা নাথকে। তাদের ১০ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বিজয় দেবনাথ তারই অফিসের এক মহিলা কর্মচারী ইশিতা রায়চৌধুরীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে বলে পড়ে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। রবিবার রাত আটটার দিকে ধর্মনগর পুর পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্যা তথা উত্তর জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রূপালী অধিকারীকে নিয়ে বিজয় দেবনাথ এর স্ত্রী রুমি শর্মা নাথ আরো কিছু এলাকার যুবকরা শাখাইবাড়ি রোডের এক নম্বর ব্রিজের কাছে একটি বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে তারা বিজয় দেবনাথকে অসংলগ্ন অবস্থায় ইশিতা রায় চৌধুরীর সাথে দেখতে পায়। সেই সময় ঘরে অপর একটি কক্ষে বিজয় দেবনাথ এর সহকর্মী বিশ্বজিৎ সূত্রধর চা খাচ্ছিল। এলাকাবাসী সহ বিজয় দেবনাথ এর স্ত্রী রুমি শর্মা নাথ এলাকার কাউন্সিলর সহ বিজয় এবং ঈশিতাকে অসংলগ্ন অবস্থায় হাতেনাতে ধরে এবং উত্তম মধ্যম দিয়ে ধর্মনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এদিকে জানা যায় ইশিতা রায়চৌধুরীকে জেলাশাসকের অফিসে বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে বর্তমানে যুবরাজ নগর আর ডি ব্লকে বদলি করে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এরা শুধুমাত্র সমাজের অবক্ষয়ই করছে না তাদের কারণে প্রতিদিন রাতে অফিস কমপ্লেক্সে মাদক দ্রব্যের ফোয়ারা চলে বলে অভিযোগ উঠে আসছে স্থানীয় সূত্রে। এদিকে রুমি শর্মা নাথ জানায় তার স্বামী অন্য মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত হয়ে সমস্ত টাকা খরচ করে যাচ্ছে এদিকে সে তার বাবার বাড়িতে ১০ বছরের সন্তানকে নিয়ে বহু কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এলাকার কাউন্সিলর রুপালি অধিকারী বলেন এই ধরনের ঘটনা চূড়ান্ত সামাজিক অবক্ষয় ছাড়া আর কিছু নয়। একটা ভদ্র স্বচ্ছ সুষ্ঠ সমাজ কে ধ্বংস করে দিচ্ছে এই ধরনের কতিপয় মানুষ। ১১ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করার পর তার এখন আর স্ত্রী সন্তানের প্রতি কোন কর্তব্য পালন না করে মেতে উঠেছে পরকীয়ায়। ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি এলাকাবাসীর। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *