বারাসত, ২8 আগস্ট (হি.স.) : উত্তর ২৪ পরগনার নীলগঞ্জের বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছলেন এনআইএ আধিকারিকরা। বিস্ফোরণের ২৭ ঘণ্টা পর সোমবার দত্তপুকুরের মোষপোলে বেআইনি বাজি কারখানার ধ্বংসস্তূপে পৌঁছল এনআইএর গোয়েন্দা দল। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে। সেখানে তদন্তকারী এক আধিকারিকের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
দত্তপুকুর বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। ঘটনার পর থেকেই বাম, কংগ্রেস, আইএসএফ এক জোটে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিলেন। আদালতে মামলাও হয়েছে।গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এরপরই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর আধিকারিকরা। সোমবার দুপুর ১.৪০ মিনিট নাগাদ এনআইএ-এর দুই আধিকারিক ঘটনাস্থলে যান। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের কথা বলতে দেখা যায়। তারপর খুব কম সময়ের মধ্যে তাঁরা প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি তাঁরা দুর্ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, যে কোনও বিস্ফোরণের ক্ষেত্রেই একটি নিয়ম রয়েছে, এনআইএ একটা প্রাথমিক তদন্ত করে। তথ্য সংগ্রহ করেন। কিন্তু এই ঘটনার ক্ষেত্রে এই তথ্য সংগ্রহ আরও গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। তার মধ্যে বাজি কারখানার মালিক কেরামত শেখের ছেলে রবিউল রয়েছে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের একাধিক বাসিন্দারাও মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন সুতির বাসিন্দা জেরাত আলি। তাঁর ভাই ইশা খাঁকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। নিমতিতা স্টেশনে মন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। ইশার দাদা জেরাত আলি আবার কাজ করতেন এই বাজি কারখানায়। ফলে সেই বিশেষ তথ্য সংগ্রহে আরও তৎপর এনআইএ। তবে এখনই সরকারিভাবে এনআইএ তদন্তভার হাতে নেয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। ইতিমধ্যেই অবশ্য এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-এনআইএ দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুলেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।