হাফলং (অসম), ২৮ আগস্ট (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলার হাফলং সরকারি বাগান থানার অন্তর্গত লোয়ার হাফলং থেকে সোমবার বস্তাবন্দি এক ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় সমগ্র এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ সোমবার লোয়ার হাফলঙে একটি গর্ত থেকে স্বপন দেবনাথ নামের এক ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে পেশায় দিনমুজুর বছর ৪২-এর স্বপন দেবনাথ নিজের স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে ১,০০০ টাকা নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পর থেকে সন্ধানহীন হয়ে পড়েন। রাতে ঘরে ফিরে না আসায় স্বপন দেবনাথের পরিবারের সদস্যরা শনিবার রাত ও রবিবার গোটা দিন খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনও সন্ধান বের করতে পারেননি। অবশেষে আজ দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে এক ঝোপে একটি গর্ত থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় স্বপন দেবনাথের পচাগলা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার পাশের রাস্তা দিয়ে এক স্কুল ছাত্র যাওয়ার সময় পচা গন্ধ পেয়ে একটু এগিয়ে দেখে জঙ্গলের মধ্যে একটি বস্তায় মানুষের আকৃতির কিছু রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই স্কুল ছাত্র বিষয়টি স্কুলের শিক্ষককে অবগত করার পর ওই শিক্ষক আশপাশ এলাকার মানুষকে বিষয়টি জানান। পরে খবর দেওয়া হয় সরকারি বাগান থানাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে লোয়ার হাফলং জঙ্গলের ঝোপ থেকে ওই গর্ত থেকে বস্তাবন্দি পচাগলা লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে লাশ উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়ে স্বপন দেবনাথের ছেলে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাঁর পরনের প্যান্ট দেখে এটি তার বাবার মৃতদেহ বলে শনাক্ত করে। তার পর মৃতদেহটি পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য হাফলং সিভিল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
পুলিশের সন্দেহ স্বপন দেবনাথকে কোনও ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে খুন করে বস্তায় বেঁধে জঙ্গলের মধ্যে গর্তে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে মৃত স্বপন দেবনাথের স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, শনিবার রাতে স্বপন তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করে ১,০০০ টাকা নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে বাড়ি ফিরছেন না দেখে তিনি এবং পরিবারের লোকরা শনিবার রাত ও রবিবার পুরো দিন খোঁজাখুঁজি করে তাঁর কোনও সন্ধান বের করতে পারেননি। আর আজই তাঁর মৃতদেহ এভাবে জঙ্গলের মধ্যে গর্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে। স্বপনের স্ত্রী পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, শনিবার রাতে তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করে এক হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় বলে গিয়েছেন, কানাই নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে মদ খেতে যাবেন। এছাড়া কোনও এক অটো চালককে ১০০ টাকা দেওয়ার করা রয়েছে বলে স্বপন দেবনাথের স্ত্রী পুলিশের কাছে বয়ান দিয়েছেন।