BRAKING NEWS

উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই দত্তপুকুরের বিস্ফোরণস্থলে গেলেন রাজ্যপাল

বারাসত, ২৭ আগস্ট (হি. স.)উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই দত্তপুকুরের বিস্ফোরণ স্থলে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেল। আমি এখান থেকে হাসপাতালে যাব। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তারপর বলব।” এরপরই বারাসত জেলা হাসপাতালে পৌঁছন তিনি।

এদিকে রাজ্যপাল যখন অকুস্থল ঘুরে দেখে বেরোচ্ছেন, গ্রামেরই একদল মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরেন। উগরে দেন একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে, অভিযোগ তা কেয়ামত আলি নামে এক ব্যক্তির। এলাকার মহিলাদের দাবি, শুধু কেয়ামত আলির কারখানা নয়, গ্রামজুড়ে এরকম একাধিক বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। অভিযোগ, বাজির গোডাউন রয়েছে এবং কার্যত প্রাণ হাতে করে বাস করছেন এলাকার লোকজন।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। ফলে বাজির ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত নন, তাঁরাও এ গ্রামে নিরাপদ নন বলে দাবি করেন মহিলারা। রবিবারের বিস্ফোরণের পর সেই আশঙ্কা আরও জোরাল হচ্ছে। গ্রামের মহিলারা অনুরোধ করেন, রাজ্যপাল যেন একবার এরকমই একটি গোডাউন বা বেআইনি বাজির গুদাম ঘুরে দেখেন।
এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গ্রামের অন্ধকার রাস্তা ধরেই ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০০ মিটার পথ এগিয়ে আসেন। সঙ্গে ছিলেন গ্রামের লোকজনও। গ্রামবাসীরা একটি বাড়ি দেখিয়ে তা বাজির গুদাম বলে অভিযোগ করেন। রাজ্যপাল সেই বাড়ির সামনে আসেন এবং সেই মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেন। পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। রাজ্যপাল আশ্বাস দেন, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার উদ্যোগ নেবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, রবিবার সাতসকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকা। বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। এ নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ছে রাজ্য সরকার। কেননা এর আগেও রাজ্যে একের পর এক জেলায় পরপর বেআইনি বাজি কারখানার হদিস মিলেছে। প্রশাসনের মদতেই এই কারখানাগুলি চলছে বলে বিরোধীদের দাবি। ইতিমধ্যে বিজেপির তরফে এনআইএ তদন্তের দাবিও তোলা হয়েছে। এরমধ্যেই ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । এদিন তিনি বারাসত জেলা হাসপাতালে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *