BRAKING NEWS

পুনর্বিকাশের তালিকায় ত্রিপুরার তিন স্টেশন ধর্মনগর, কুমারঘাট ও উদয়পুরঅমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের অধীনে ব্যয় ধার্য ৯৬.৬ কোটি টাকা

গুয়াহাটি, ১৪ আগস্ট (হি.স.) : অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের অধীনে ৯৬.৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ত্রিপুরার তিনটি মেজর স্টেশন যথাক্রমে ধর্মনগর, কুমারঘাট ও উদয়পুর স্টেশনকে পুনর্বিকাশ করা হবে। এই স্টেশনগুলি পুনর্বিকশিত হলে ত্রিপুরার রেল ব্যবহারকারীরা এক আধুনিক বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধাযুক্ত স্টেশন লাভ করবেন। প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ৬ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সিঙের মাধ্যমে দেশজুড়ে ৫০৮টি রেলওয়ে স্টেশনকে পুনর্বিকাশের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

আজ এক প্রেসবার্তায় এ খবর জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে। তিনি জানান, এই স্টেশনগুলিতে বিশ্বমানের এমন সমস্ত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে, যা বিলাসিতা ও আকর্ষণ উভয়রেই রূপান্তর হবে। দিব্যাঙ্গজন সহ ভ্রমণকারীরা পুনর্বিকশিত স্টেশনের সুবিধাগুলি সহজেই উপলব্ধ করতে পারবেন, যা যত্ন সহকারে ও চিন্তাভাবনার দ্বারা ডিজাইন করা হবে। সমৃদ্ধপূর্ণ সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করে ত্রিপুরার মূল্যবোধের জীবন্ত প্রতিফলনে রূপান্তরিত হবে এই স্টেশনগুলি।

প্রেসবার্তায় আরও জানান, রাজ্যের সবুজ প্রকৃতি সংরক্ষণ করতে এই স্টেশনগুলিতে পরিবেশ সতেচনতার স্থাপত্যের কারুকার্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। স্টেশনের ভেতরে যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা করা হবে এবং বাইরের অংশে ত্রিপুরার সারমর্মকে শৈল্পিকভাবে চিত্রিত করে প্রাণশক্তির সাথে যাত্রাকে প্রেরনাদায়ক করে তুলবে। এই স্টেশনগুলি শুধুমাত্র থামার স্থান হবে না বরং তার পাশাপাশি রাজ্যের পর্যটন সম্পদের প্রবেশদ্বারও হয়ে উঠবে, যার মাধ্যমে বিরাট মাপের এক উৎসাহ পাওয়া যাবে। এ সবের পাশাপাশি পুনর্বিকশিত স্টেশনগুলি অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে, যার ফলে রাজ্যের কর্মসংস্থানের সূচকগুলির উন্নতি ঘটবে।

প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় বলেছিলেন, অনেক স্টেশনের আধুনিকীকরণের ফলে দেশে উন্নয়নের এক নতুন পরিবেশের সৃষ্টি করবে। কারণ এগুলি দর্শনার্থীদের মধ্যে প্রথমেই একটি ভালো প্রভাব তৈরি করবে। উন্নত স্টেশনগুলি শুধু পর্যটন বৃদ্ধি করবে না, পাশাপাশি নিকটবর্তী অঞ্চলগুলিতে অর্থনৈতিক কার্যকলাপেরও বৃদ্ধি ঘটাবে। এই সব অমৃত স্টেশনগুলি নিজেদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করার প্রতীক হবে এবং প্রত্যেক নাগরিকের মধ্যে গর্ববোধ জাগিয়ে তুলবে। উন্নত পরিচয় ও আধুনিক ভবিষ্যতের সাথে রেলকে সংযুক্ত করা বর্তমান সরকার-এর দায়িত্ব বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *