রামকৃষ্ণ-২ পুলিস-০
(থকচোম,নেওরেম)
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ আগস্ট।।পুলিসের বিরুদ্ধে জয় পেতে বেগ পেতে হলো রামকৃষ্ণ ক্লাবকে। গোলগুলি যদি পুলিসের রক্ষনভাগের ফুটবলারদের ভুলে না হতো তাহলে জয় অধরা থেকে যেতে পারতো রামকৃষ্ণ ক্লাবের। রাজ্য ফুটবল সংস্থা আয়োজিত রাখাল শিল্ড নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতায়। উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে রামকৃষ্ণ ক্লাবের গোলরক্ষক থাকচোম জনসন সিং এর নেওয়া লম্বা শট পুলিসের রক্ষণভাগের ফুটবলার অনুপ এম এল হেড দিয়ে ব্যাকপাস করে দলের গোলরক্ষক রণেশ দেববর্মাকে। কিন্তু গোলরক্ষক বলটি ধরতে পারেনি। ১-০ তে এগিয়ে যায় রামকৃষ্ণ। প্রথমার্ধে ব্যবধান অপরিবর্তিত ছিলো। দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন পুলিসের ফুটবলাররা। এরই মধ্যে ৭৫ মিনিটে একটি নিরীহ আক্রমণ থেকে বিপক্ষের বক্সে বল পেয়ে রামকৃষ্ণ ক্লাবের নেওরেম সিং-এর ডান পায়ে জোড়ালো যে পাঞ্চ পুলিসের রক্ষণভাগের ফুটবলার অমিত দেববর্মা-র পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ব্যবধান বাড়ে ২-০। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান অপরিবর্তিত রেখে জয়ে তুলে নিয়ে আসরের সেমিফাইনালে উঠলো রামকৃষ্ণ ক্লাব। ১৮ আগস্ট আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রামকৃষ্ণ ক্লাব মুখোমুখি হবে ১৬ আগস্ট লালবাহাদুর এবং ফরোয়ার্ড ম্যাচের বিজয়ী দলের বিরুদ্ধে। এদিন ম্যাচ পরিচালনা করেন তাপস দেবনাথ। এদিকে খেলা শেষে জয় পেয়েও খুশি নন রামকৃষ্ণ ক্লাবের কোচ কৌশিক রায়:”মাঝমাঠের ফুটবলাররা ভালো খেললেও রক্ষণভাগ ছিলো আগোছালো। গোটা দলকে নিয়ে আরও অনুশীলন করতে হবে। তবে বিশ্বাস করি সেমিফাইনালে ছেলেরা আরও ভালো খেলবে”। শক্তি বাড়াতে পুলিস দলে নেওয়া হয়েছিলো মণীন্দ্র রিয়াংকে। তাতেও সফলতা আসলো না। হতাশ কোচ সন্দীপ দাস বলেন,”রক্ষণভাগের ফুটবলারদের ভুলে এভাবে ছিটকে যেতে হবে আমাজদের ভাবতেই পারিনি। ওই একটি বিভাগ ছাড়া গোটা দলই ভালো খেলার চেষ্টা করেছে”।