নয়াদিল্লি, ১৪ আগস্ট (হি. স.) : স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু । সোমবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এবার দ্রৌপদী মুর্মুর কথায় উঠে এল নারী শক্তি তথা চন্দ্রযানের কথা।
৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সোমবার ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভারত মাতার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে ছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরার মতো সেনানীরা সরোজিনী নাইডু, সুচেতা কৃপালিনী দেশ তথা সমাজের জন্য কাজ করে গিয়েছেন। মহিলারা বহু ক্ষেত্রে আজ এগিয়ে গিয়েছেন। কয়েক দশক আগে এটা ভাবতেই পারতেন না। আর্থিক শক্তিতে বলীয়ান হয়েছেন ভারতের নারীরা। ভারতের বোন, মায়েরা সাহসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন।
ভারত অন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রেও এগিয়ে গিয়েছে। জি-২০ এর ক্ষেত্রে সাফল্য় পেয়েছে ভারত। আদিবাসীদের আবেদন করছি পরম্পরাকে মেনে নিয়ে আধুনিকতার দিকে এগিয়ে চলুন। ”
এদিন তিনি আরও বলেন, “আমি শিক্ষিকা ছিলাম। আমি শিক্ষার অগ্রগতি চাই। আগামীদিনে শিক্ষা ক্ষেত্রে বড় উন্নতি হবে। বিকাশের অনন্তসম্ভবনা ভারতের যুব সমাজের মধ্য়ে হবে। আজ মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নতুন গবেষণার দিকে এগোচ্ছে। চাঁদের মাটিতে নামবে ভারতের চন্দ্রযান। তার জন্য অপেক্ষা করে আছি আমরা। এটা হল একটা সিঁড়ি। গবেষণার ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাব আমরা।”
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করে তিনি বলেন, “১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ঔপনিবেশিক শাসনের শিকল ছিন্ন করে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম। তাই যাঁদের জন্য আমরা এই দেশে মুক্ত শ্বাস নিতে পারছি, সেই সব বীর শহিদদের আত্মত্যাগকে আমরা যেন প্রত্যেকে স্মরণ করি।”
তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত এগিয়ে গিয়েছে। জি-২০ এর ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে দেশ। আজ বিশ্বে নিজের যোগ্যতায় আসন লাভ করেছে ভারত। আদিবাসীদের আবেদন করছি পরম্পরাকে মেনে নিয়ে আধুনিকতার দিকে এগিয়ে চলুন।”
এদিন তাঁর ভাষণে উঠে আসে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কথা । এবিষয়ে তিনি বলেন, “গরিব মানুষদের উপর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার প্রভাব পড়ে। অনেক জনজাতির মানুষ রয়েছেন যাঁরা প্রকৃতির কাছে বসবাস করেন। তাঁরা প্রকৃতিতে মাতা বলে মনে করেন। তাঁরা প্রকৃতিকে অত্যন্ত ভালোবাসেন।
আমরা অমৃতকালে প্রবেশ করেছি। আমরা সকলেই সংবিধানের মূল কর্তব্য পালনের জন্য় প্রতিজ্ঞতাবদ্ধ হই। ভারতের সেনা, পুলিশ, প্রবাসীদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। ”