গুয়াহাটি, ১ আগস্ট (হি.স.) : মঙ্গলবার থেকে অসমে চালু হয়ে গেছে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি। এর ফলে বদলে গেছে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শিক্ষা ব্যবস্থা। জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী এখন থেকে তিন বছরের পরিবর্তে চার বছরে সম্পন্ন হবে স্নাতক পাঠ্যক্ৰম।
নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী এখন থেকে স্নাতকের তৃতীয় ষাণ্মাসিক থেকে অনুষ্ঠিত হবে মেজর বিষয়ের পরীক্ষা। চলতি শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের কলেজগুলিতে চলছে ভৰ্তি প্ৰক্ৰিয়া। স্নাতকের যে কোনও শিক্ষাৰ্থী স্বইচ্ছায় প্ৰথমবারের জন্য দু বছরে লাভ করবেন ডিপ্লোমার সাৰ্টিফিকেট, তিন বছরে স্নাতক পাঠ্যক্ৰম সমাপ্ত করতে চাইলে লাভ করবেন ডিগ্ৰি সাৰ্টিফিকেট। চতুৰ্থ বছরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাৰ্থী লাভ করবেন ডিগ্ৰির পাশাপাশি মেজর বিষয়ের সাৰ্টিফিকেট।
চার বছরের মধ্যে কোনও ছাত্ৰ বা ছাত্ৰী স্নাতক পাঠ্যক্ৰম অসম্পূর্ণ রাখলে, পরবর্তীতে তাঁরা তা সম্পন্ন করতে পারবেন, এই ব্যবস্থাও রয়েছে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে। তাছাড়া প্ৰথমবারের জন্য স্নাতকের কলা শাখার যে কোনও শিক্ষাৰ্থী পাশ কোর্স হিসেবে বিজ্ঞান, বিজ্ঞানের শিক্ষাৰ্থী পাশ কোর্স হিসেবে কলা শাখার বিষয় নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে নতুন শিক্ষানীতিতে।
এই নতুন শিক্ষানীতি ছাত্ৰছাত্ৰীদের কেমন উপকৃত করছে, তা প্ৰথম ছয় মাস পর অনুষ্ঠেয় প্ৰথম ষাণ্মাসিকে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। এবার জাতীয় শিক্ষানীতির আধারে রাজ্য সরকার কর্তৃক তৈরি পোৰ্টালে চলছে ভৰ্তি প্রক্রিয়া।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, কিছুদিন আগে জাতীয় নতুন শিক্ষানীতি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, নবপ্রজন্মকে স্বইচ্ছায় এবং স্বকীয় উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে নিজ নিজ উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়তে উৎসাহব্যঞ্জক ভূমিকা রাখবে জাতীয় নয়া শিক্ষানীতি। তিনি বলেছিলেন, পৃথিবীর বহু সভ্যতা কালের বুকে বিলীন হয়ে গেলেও ভারতীয় সনাতন সভ্যতা যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ হয়ে প্রবাহিত নদীর মতো বয়ে চলেছে এবং চলবেও। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি এই সভ্যতার শৈক্ষিক ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত মূল বিষয়াবলির সঙ্গে নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক চিন্তা-চর্চা সন্নিবিষ্ট করে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে।