নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১ আগস্ট ।। ফিজিওথেরাপিস্টরা নামের আগে ডক্টর লিখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন আদালতে একাধিক মামলা চলছে। এখন পর্যন্ত ডক্টর লেখার অধিকার কোন আদালত তাদেরকে প্রদান করেনি। এরই মধ্যে ধর্মনগরে রাজ্যের বেশ কিছু ক্ষমতাবান লোকেরা ফিজিওথেরাপিস্ট হয়ে নামের আগে ডক্টর লিখে চেম্বার খুলে প্রেসক্রিপশন লিখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। উত্তর জেলা সদর ধর্মনগরে কদমতলার বাসিন্দা ফিজিওথেরাপিস্ট বিধায়ক ভট্টাচার্য ধর্মনগরের থানা রোডে একটি চেম্বার খুলে নামের আগে ডক্টর জুড়ে দিয়ে ডঃ বিধায়ক ভট্টাচার্য নাম লিখে চেম্বার চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
সুদীপ চক্রবর্তী নামে জনৈক ব্যক্তি ফিজিওথেরাপিস্টরা নামের আগে ডক্টর লিখতে পারবেন কিনা তার অভিযোগ জানিয়ে উত্তর জেলা শাসক নাগেশ কুমার বি-র কাছে এক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা শাসক উত্তর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর অরুনাভ চক্রবর্তীকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। একজন ডিসিএম যার ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা রয়েছে এমন একজন সহ আরো দুইজন চিকিৎসক দিয়ে তিনজনের কমিটি গঠন করে তদন্তের কাজ শুরু করেন।
আর্টিকেল নাম্বার ২৩ অনুযায়ী কোন ফিজিওথেরাপিস্ট এখন পর্যন্ত নামের আগে ডক্টর লিখতে পারেন না। তদন্তক্রমে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারকের নির্দেশ অনুযায়ী ২৮ জুলাই থেকে এই বিধায়ক ভট্টাচার্যের চেম্বারের সামনে সরকারি নোটিশ লাগিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ডঃ উপাধি অপব্যবহারের জন্য তাকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রশাসনের এই ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রত্যেকেই।
এদিকে বিধায়ক ভট্টাচার্য জানান, কিছু সংখ্যক স্বার্থান্বেষী মানুষ যারা তাঁকে সহ্য করতে পারেন না তাদের ষড়যন্ত্রের ফলে এই সরকারি নোটিশ। ধর্মনগর তথা ত্রিপুরা রাজ্যে অসংখ্য এই ধরনের সেন্টার চললেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না কেন তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন। এর বিরুদ্ধে আইনজীবীর সাহায্য নিয়ে তিনি কোর্টে যাবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন।