আলুভা, ৩০ জুলাই (হি.স.) : কেরলে হাজারো মানুষ চোখের জলে শেষ বিদায় জানান যৌন লালসার শিকার পাঁচ বছরের নাবালিকাকে । রবিবার ছোট্ট একরত্তি মেয়েটির শেষকৃত্যে পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী ছাড়াও মৌন প্রতিবাদ মিছিলে শামিল কয়েকশো মানুষ।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আলুভা শহরের কাছ থেকে মেয়েটিকে অপহরণ করে আসফাক আসলাম নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক। ধর্ষণের তাকে খুন করে বস্তায় পুরে আবর্জনা ফেলার জায়গায় ফেলে যায়। মেয়েটির বাবা-মাও পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা বিহারের বাসিন্দা। মণিপুরে যখন হিংসা ও নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে দেশ তোলপাড়, তখন বামশাসিত দক্ষিণী রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা নিয়ে শিউরে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেস বামপন্থী সরকারের মুণ্ডপাত শুরু করেছে। সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশও সমাজমাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছে। দুটি শব্দে পুলিশ লিখেছে ‘সরি ডটার’। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ঘটনায় যথেষ্ট রাগ, ঘৃণা ও প্রতিহিংসার বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হল সেই একরত্তির । এদিন এরনাকুলাম জেলার আলুভা শহরের কাছে কিঝমাড কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। এদিন প্রথমে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া স্কুলে। সেখানে সহপাঠী ও শিক্ষকরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। উপস্থিত ছিলেন মেয়েটির তিন ভাইবোন, বাবা-মা ও অন্য অভিভাবকরাও। দোষী ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি তোলেন শেষকৃত্যে যোগ দেওয়া প্রায় সব মানুষই।
যথারীতি কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান জানান, রাজ্য সরকারের কাছে তিনি এ ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করবেন। রাজ্যপাল বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছি এবং লজ্জাবোধ করছি। সরকারের পক্ষে হয়তো সবকিছু ঠেকানো সম্ভব নয়। কিন্তু সরকারের কর্তব্য এ জাতীয় অপরাধীকে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা। এমন শাস্তি যে যা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের কাজ করার আগে ভয় পায়।