আগরতলা, ৩ জুলাই (হি.স.) : ত্রিপুরায় উৎপাদিত কৃষি ও উদ্যানজাত ফসল বাজারজাতকরণের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ত্রিপুরায় ১৩টি সৌরভিত্তিক শীতলকক্ষ তৈরী করা হচ্ছে। আজ আগরতলায় প্রজ্ঞা ভবনে ত্রিপুরার কৃষি ও উদ্যানজাত ফসল বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন এবং ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বৈঠকে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক(ডা.) মানিক সাহা।
তাঁর কথায়, ত্রিপুরার অর্থনৈতিক বিকাশের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে কৃষি। কেন্দ্র ও ত্রিপুরা সরকার কৃষির বিকাশ ও কৃষকদের কল্যাণে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। রাজ্যের আনারস আমাদের দেশের বিভিন্ন রাজ্য সহ বিদেশে ত্রিপুরার পরিচিতি বহণ করছে।
তাঁর দাবি, গত কয়েক বছর ধরে ত্রিপুরায় উৎপন্ন আনারস, সুগন্ধি লেবু বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কেরলের পর ত্রিপুরা হচ্ছে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাবার উৎপাদক রাজ্য। বর্তমানে ত্রিপুরায় রাবার উৎপাদনের পরিমান প্রায় ৯৪ হাজার মেট্রিকটন। ত্রিপুরায় আধুনিক স্মোক হাউস স্থাপনের মাধ্যমে উন্নতমানের গ্রেডেড রাবার শিট উৎপাদনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, বলেন তিনি।
সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় ২১ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। নয়াদিল্লিতে নবনির্মিত সংসদ ভবনেও ত্রিপুরার বাঁশের নির্মিত টাইলস বসানো হয়েছে, যা রাজ্যের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।
এদিন শ্রী সাহা বলেন, ত্রিপুরায় উৎপাদিত কৃষি ও উদ্যানজাত ফসল বাজারজাতকরণের উপর রাজ্য সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ত্রিপুরায় ১৩টি সৌরভিত্তিক শীতলকক্ষ তৈরী করা হচ্ছে। সিপাহীজলায় ২৫ লক্ষ উন্নতমানের সব্জির চারা উৎপাদন করে ত্রিপুরার কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।