আসানসোল, ৩০ জুন (হি. স.) : গোরু পাচার মামলায় আবারও জামিন নাকচ হল বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ জুলাই হবে বলে বিচারক জানান।
শুক্রবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তাঁর হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। কিন্তু সেই জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী জশ কিষান। তিনি মূলত অনুব্রত’র বিরুদ্ধে ‘প্রভাবশালী তত্ত্ব’ খাঁড়া করেন। শেষ পর্যন্ত সেই তত্ত্বেই সিলমোহর দিয়ে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রত’র জামিনের আবেদন নাকচ করেন। তবে এদিন সওয়াল-জবাবের সময় তদন্ত নিয়ে বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে।
৩২৩ দিন ধরে জেল হেপাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে যে কোন শর্তে জামিন দেওয়া হোক, এদিন আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এই আবেদন করেন অনুব্রত’র আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ। এদিন দিল্লির তিহার জেলে অনুব্রত’র ভার্চুয়াল শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন এজলাস থেকে তিহার জেলের সঙ্গে টেকনিক্যাল কারণে যোগাযোগ না হলেও অনুব্রত’র হয়ে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘আমার মক্কেল ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট থেকে জেলবন্দি হয়ে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি চার্জশিট জমা পড়েছে। কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে তা জানা যাচ্ছে না।’ এদিকে ‘প্রভাবশালী তত্ত্ব’ খাঁড়া করে জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী জয় কিষান।
তিনি বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল ভীষন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। এইসময় তাঁকে জামিন দেওয়া হলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।’ সেই সময় বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইয়ের তদন্তকারি অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসা করেন, ২৮৩ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে। আর কত লাগবে? উত্তরে সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তার জন্য কয়েকজন সাক্ষীর বয়ান প্রয়োজন। এরপর বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাঁর কাছে আবারও জানতে চান, ‘আর কতদিন তদন্ত চলবে? কত সময় লাগবে?’ এর জবাবে সুশান্ত ভট্টাচার্য জানান, দ্রুত এই মামলায় ফাইনাল চার্জশিট দেওয়া হবে। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক রায়দান সাময়িক স্থগিত রাখেন। শেষ পর্যন্ত দুপুর দুটোর পরে বিচারক অনুব্রত মণ্ডলের জামিন নাকচ করে দেন। ১৪ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।