ভারতের অসাধারণ অগ্রগতির নেপথ্যে রয়েছে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের বিশ্বাস : প্রধানমন্ত্রী

ওয়াশিংটন, ২৪ জুন (হি.স.): আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, শনিবার ভোররাতে ওয়াশিংটন ডিসি-র রোনাল্ড রিগান বিল্ডিংয়ে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী নিজের বক্তৃতায় বলেছেন, “ভারতের এই অসাধারণ অগ্রগতির নেপথ্যে রয়েছে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের বিশ্বাস। মোদী একা কিছু করেননি, শত শত বছরের ঔপনিবেশিকতা আমাদের থেকে এই বিশ্বাস কেড়ে নিয়েছিল।” মোদী বলেছেন, “আপনারা ভারতের প্রতিটি অর্জনে আনন্দিত হন। এখানকার সুপারমার্কেটে মেড ইন ইন্ডিয়া দেখে আপনারা গর্ব বোধ করেন। আপনারা গর্বিত বোধ করেন যখন সমগ্র বিশ্ব ‘নাটু নাটু…’-এর সুরে নাচে।”

প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “আমেরিকায় ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর এত সুন্দর ছবি দেখানোর জন্য আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমেরিকায় আমি যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি তা চমৎকার, সব কৃতিত্ব এদেশের মানুষের। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং আমি গত ৩ দিনে অনেক আলোচনা করেছি। আমি বলতে পারি, তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তিনি সর্বদা ভারত-আমেরিকা অংশীদারিত্বকে অন্য স্তরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এই তিন দিনে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের এক নতুন ও গৌরবময় যাত্রা শুরু হয়েছে। এই নতুন যাত্রা বৈশ্বিক কৌশলগত বিষয়ে আমাদের একত্রিত হওয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের জন্য আমাদের সহযোগিতার। প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং উৎপাদন সহযোগিতা হোক বা শিল্প সরবরাহ শৃঙ্খলে সমন্বয় বাড়ানো হোক, উভয় দেশই একটি উন্নত ভবিষ্যতের দিকে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিচ্ছে। জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানির ভারতে ফাইটার প্লেন তৈরির সিদ্ধান্ত ভারতের প্রতিরক্ষা সেক্টরের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হবে।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেছেন, “একসঙ্গে আমরা কেবলমাত্র নীতি এবং চুক্তি তৈরি করছি না, আমরা জীবন, স্বপ্ন এবং ভাগ্য গঠন করছি।..বেঙ্গালুরু এবং আহমেদাবাদে আমেরিকার নতুন কনস্যুলেট খোলা হবে। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এইচ১বি ভিসা পুনর্নবীকরণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই করা যেতে পারে।” ভারতে ডিজিটাল বিপ্লবের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “গত কয়েক বছরে ভারত যেভাবে ডিজিটাল বিপ্লব দেখেছে তা নজিরবিহীন। হয়তো আপনারাও নিজস্ব গ্রামের একটি দোকানে একটি বারকোড বোর্ড দেখতে পাবেন। হয়তো আপনি নগদ অর্থ প্রদান করার চেষ্টা করছেন এবং দোকানদার জিজ্ঞাসা করবে আপনার ফোনে একটি ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপ আছে কিনা। এই পরিবর্তিত ভারত আপনাকে বিস্মিত করবে। এখন যে কেউ, ভারতের যে কোনও জায়গায় ২৪/৭ ব্যাঙ্কিং করতে পারে। রবিবার হোক বা সোমবার, তাতে কোনও প্রভাব নেই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *