কলম্বিয়া, ১০ জুন (হি. স.) : আমাজনের গহীন অরণ্যে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিখোঁজ হয়েছিল চার শিশু। দীর্ঘ প্রায় ৪০ দিন পর তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও প্রাণ হারিয়েছেন প্রাপ্তবয়স্ক তিন আরোহী। অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া চার শিশুর মধ্যে এক জনের বয়স এক বছর। এছাড়া ১৩ বছরের লেসলি, ৯ বছরের সোলেনি, ৪ বছরের রানোকে খুঁজে পাওয়া গেছে ।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেড্রো শনিবার জানান, বিমান দুর্ঘটনার পাঁচ সপ্তাহ পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে চার কিশোরকে। দীর্ঘ তল্লাশি চালানোর পর মিলেছে এই সাফল্য। টুইটারে পেড্রো লেখেন, “গোটা দেশের জন্য এটা দারুণ খবর। ৪০ দিন আগে আমাজনের জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছিল এই চার খুদে। তাদের অবশেষে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেল।” একটি ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সেনা জওয়ানরা চারজনকে উদ্ধার করেছেন। আপাতত তাদের চিকিৎসা চলছে। পেড্রো বলে দেন, আমাজনের মতো ভয়ংকর ঘন জঙ্গলে তাদের জীবনযুদ্ধের এই জয় নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। ইতিহাস তাদের মনে রাখবে।
গত ১ মে কলম্বিয়ার ঘন জঙ্গলের মাঝে ভেঙে পড়েছিল একটি বিমান। জনবসতি থেকে এত দূরে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল যে সেটি খুঁজে পেতেও বেশ কষ্ট করতে হয় সে কলম্বিয়ার প্রশাসনকে। ১৬ মে ঘন জঙ্গলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল। ভাঙা বিমানের পাশ থেকেই মেলে তিনজনের মৃতদেহ। কিন্তু বাকি চার শিশুর যে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি, তা বুঝে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় জোর তল্লাশি। ৪০ দিন পর ঘন জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চার শিশুকে।
শিশুদের দাদু নার্সিজো মুকুটুই সাংবাদিকদের জানান, তাদের উদ্ধারের খবরে তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, ইয়ারির জঙ্গলে নিখোঁজ হওয়া আমার নাতি-নাতনিদের দাদু হিসাবে এ মুহূর্তে আমি খুব খুশি। উদ্ধার হওয়া শিশুরা হুইটোতো সম্প্রদায়ের। কর্মকর্তারা বলেছন, রেইনফরেস্টে কীভাবে বেঁচে থাকতে হয় সে সম্পর্কে বড় ভাইবোনদের কিছুটা জ্ঞান ছিল। কলম্বিয়ার সেনাবাহিনীর প্রকাশ করা ছবিগুলোতে জঙ্গলের মাঝখানে চার শিশুর সঙ্গে একদল সৈন্যকে দেখা গেছে।

