নয়াদিল্লি, ৫ জুন (হি. স.)। ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে। খড়গে চিঠিতে লিখেছেন, সরকার জবাবদিহি নির্ধারণ কারার যে কোনও প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে এবং জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে চেষ্টা করছে।
খাড়গে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীর মেনে নেওয়া উচিত যে সমস্যা রয়েছে। রেলমন্ত্রীর দাবি, দুর্ঘটনার আসল কারণ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তারপরও তিনি সিবিআইকে তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন।
আসল কারণ উদঘাটনের দাবি কংগ্রেস সভাপতির। তিনি লিখেছেন, “ওড়িশার এই ট্রেন দুর্ঘটনা আমাদের সকলের চোখ খুলে দিয়েছে। রেলমন্ত্রী ও এনডিএ সরকারের সমস্ত নিরাপত্তা দাবি ফাঁস হয়ে গেছে। এ অবস্থা নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। তাই এ দুর্ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখে প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে।
ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি লেখেন, সিবিআই বা অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি প্রযুক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক বা রাজনৈতিক ব্যর্থতার জন্য জবাবদিহি ঠিক করতে পারে না। তাছাড়া, রেলওয়ে নিরাপত্তা, সিগন্যালিং সিস্টেম এবং রক্ষণাবেক্ষণ অনুশীলনের বিষয়ে তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব রয়েছে।
কংগ্রেস সভাপতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সিস্টেমের মধ্যে ত্রুটিগুলি দূর করার সরকারের কোন ইচ্ছা নেই। এর জন্য, তিনি ২০১৬ সালে কানপুর ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত এনআইএ-কে হস্তান্তর করার এবং পরে তদন্ত শেষ না করার উদাহরণও দিয়েছেন।
নিরাপত্তার উপর বিশেষ ফোকাস করার জন্য অনুরোধ করে, খাড়গে লেখেন, বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা মান এবং সরঞ্জামগুলি রেলপথে একটি মিশন মোডে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইনস্টল করা উচিত। এতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ হবে।
পাশাপাশি বিজেপি সরকারের রেলের কাজকর্ম নিয়ে নানাভাবে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কী কারণে ২০১৭-১৮ সালে রেলওয়ে বাজেটকে সাধারণ বাজেটের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছিল? রেলওয়ের মতো একটি বিশাল সংস্থা স্বাধীনতার পর থেকে সব বিভাগে ছাড় দিয়েছে। কিন্তু করোনার সময় বয়স্ক, শিশু ও নারীদের যে ছাড় দেওয়া হয়েছিল তা কেটে দেওয়া হয়েছে।