আলোচনা সভায় বিভিন্ন প্রস্তাব এবং সমিতি গঠন
করিমগঞ্জ (অসম) ৪ জুন (হি.স.) : বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের ৩০তম কেন্দ্রীয় দ্বিবার্ষিক অধিবেশন আয়োজনের লক্ষ্যে রবিবার বিপুল সংখ্যক নাগরিকের উপস্থিতিতে একটি শক্তিশালী অভ্যর্থনা সমিতি গঠন করা হলো। এর সভাপতি হয়েছেন বিনোদলাল চক্রবর্তী, নির্বাহী সভাপতি ড. সব্যসাচী রায় ও সাধারণ সম্পাদক নিশিকান্ত ভট্টাচার্য।
এদিন বিপিনচন্দ্র পাল স্মৃতি ভবনে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় অধিবেশনকে সামনে নাগরিকদের পরামর্শ নেওয়া হয়। স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন সংগঠনের করিমগঞ্জ জেলা সমিতির উপসভাপতি অরবিন্দ পাল। সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তথা করিমগঞ্জ জেলা সমিতির অন্যতম উপসভাপতি ড. সব্যসাচী রায়। এর পর বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে বক্তব্য পেশ করেন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান দেবব্রত সাহা, ড. সুখেন্দুশেখর দত্ত, ড. মনোলীনা নন্দীরায়, ডা. আবুল হোসেন, অমরেশ রায়, ড. অনির্বাণ দত্ত, হবিবুর রহমান চৌধুরী, সুব্রত কুমার পাল, সুখেন্দুবিকাশ পাল, দেওয়ান আব্দুল হেকিম চৌধুরী, মিহির দেবনাথ, জাহিদ রুদ্র, সুদীপ্তা দেচৌধুরী, সব্যসাচী রুদ্রগুপ্ত, সন্তোষ দত্ত, সৌমিত্র পাল, সুব্রত ঘোষ, বিষাণ দাস, সুবীর রায়চৌধুরী, সানি দাস, শতাব্দী দাসদত্ত, বিনোদলাল চক্রবর্তী প্রমুখ ।
অধিবেশনে ভাষা-সাহিত্যের সংকট, অসমে বাঙালি জাতিসত্তার সংকট, বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইগুলিতে ভাষা বিভ্রাট প্রভৃতি বিষয় অধিবেশনে চর্চা হবে বলে সভায় জানিয়ে দেওয়া হয়। গ্রামাঞ্চলে অধিবেশনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ায় গুরুত্ব আরোপ করা হয় সভায়।
অভ্যর্থনা সমিতিতে এ ছাড়া উপসভাপতি মন্ডলীতে রয়েছেন ড. কৃষ্ণরঞ্জন পাল, সুলেখা দত্তচৌধুরী, ডা. আবুল হোসেনক, রণধীর রায় ও দয়ালচন্দ্র সরকার। সহ-সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন সত্যজিৎ দাস, ড. অরূপ দাস ও দিবাকর দাস। কার্যালয় সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন চয়ন বণিক ও পার্থ সুম। সুবীর রায়চৌধুরীকে সভাপতি এবং নন্দকিশোর বণিককে আহ্বায়ক করে অর্থ উপসমিতি, সজল দত্তকে সভাপতি এবং নিরোজিৎ দাসকে আহ্বায়ক করে ব্যবস্থাপনা উপসমিতি, মাশুক আহমদকে সভাপতি এবং ঝুমা দাসকে আহ্বায়ক মনোনীত করে স্মরণিকা ও লিটল ম্যাগাজিন মেলা উপসমিতি, সৌমিত্র পালকে সভাপতি এবং নীলজ দাসকে আহ্বায়ক করে সংস্কৃতি উপসমিতি, অরবিন্দ পালকে সভাপতি এবং ড. বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে আহ্বায়ক করে সাহিত্য উপসমিতি, বিবেকানন্দ মোহন্তকে সভাপতি এবং রঞ্জনকুমার ভট্টাচার্যকে আহ্বায়ক করে আলোচনাসভা উপসমিতি, অমৃতলাল বণিককে সভাপতি এবং অসিতবরণ পালকে আহ্বায়ক করে খাদ্য উপসমিতি, সুবীরবরণ রায়কে সভাপতি এবং অরূপ রায়কে আহ্বায়ক করে শোভাযাত্রা উপসমিতি, দেবব্রত ভট্টাচার্যকে সভাপতি এবং রাজন সাহা সর্দারকে আহ্বায়ক করে প্রচার উপসমিতি, মৌসুমী রায়কে সভানেত্রী এবং শতাব্দী দাসদত্তকে আহ্বায়ক করে শিশুমেলা উপসমিতি, নুপূর পুরকায়স্হকে সভাপতি এবং গোবিন্দ দত্তকে আহ্বায়ক করে আবাসন ও আপ্যায়ন উপসমিতি এবং সুজয় ধরকে প্রদর্শনী উপসমিতির দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। উপদেষ্টামন্ডলীতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রাজীমোহন পন্থ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অমলেন্দু চক্রবর্তী, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রাক্তন উপাচার্য ড. জয়ন্তভূষণ ভট্টাচার্য ও ড. তপোধীর ভট্টাচার্য, সাংসদ কৃপানাথ মালা, জেলার পাঁচ বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, কমলাক্ষ দেপুরকায়স্হ, বিজয় মালাকার, সিদ্দিক আহমদ ও আব্দুল আজিজ, সংগঠনের পাঁচ প্রাক্তন জেলা সভাপতি চন্দ্রজ্যোতি ভট্টাচার্য, সুখেন্দুশেখর দত্ত, সতু রায়, ড. জন্মজিৎ রায় ও ড. সুধাংশুশেখর দত্ত, জেলার সব প্রাক্তন সাংসদ – বিধায়ক, করিমগঞ্জ, বদরপুর, রামকৃষ্ণনগরের পুরপতি ও নগর সমিতির সভাপতিরা, করিমগঞ্জ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রাধিকারঞ্জন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক গৌতমপ্রসাদ দত্ত সহ তৈমুর রাজা চৌধুরী, সঞ্জীব দেবলস্কর, সংগঠনের হবিবুর রহমান চৌধুরী, জেলার তিন রাজনৈতিক দলের তিন সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, রজত চক্রবর্তী ও আজিজুর রহমান তালুকদার, সুখেন্দুবিকাশ পাল, ডা. মণিশঙ্কর দাশগুপ্ত, বিশ্বনাথ চৌধুরী, নিশীথরঞ্জন দাস, হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরী, সংগঠনের দুই কেন্দ্রীয় উপসভাপতি ইমাদ উদ্দিন বুলবুল ও মানিক চক্রবর্তী, সুশান্তকুমার পাল প্রমুখ।
সভায় ওড়িশায় রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করে একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক মাশুক আহমদ। অধিবেশনকে সার্বিকভাবে সফল করে তোলার ডাক দেওয়া হয় সভা থেকে ।