গুয়াহাটি, ৩০ মে (হি.স.) : আগামী ৩ জুন গুয়াহাটিতে মঞ্চস্থ হবে বাংলাদেশের শিল্পীদের অভিনীত দুটি নাটক। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ব্যতিক্ৰম মাসডো এবং গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার।
এ খবর দিয়ে ব্যতিক্ৰম মাসডো-র সভাপতি তথা ফ্ৰেন্ডস অব বাংলাদেশ অসম চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক ড. সৌমেন ভারতীয়া জানান, আগামী ৩ জুন গুয়াহাটির পাঞ্জাবাড়িতে অবস্থিত শ্ৰীশ্ৰী মাধবদেব আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাগৃহে জনপ্ৰিয় নাট্যদল ‘মেড থিয়েটার’-এর দ্বিতীয় প্ৰযোজিত দুটি নাটক ‘অ্যান ফ্র্যাংক’ এবং রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুরের ‘দ্বিতীয় বিজয়া’ মঞ্চস্থ হবে।
এদিকে এ সম্পর্কে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির আদান-প্ৰদান অব্যাহত থাকুক। কয়েকদিন আগে ব্যতিক্ৰম-এর উদ্যোগে রবীন্দ্ৰ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিল্পী শ্যামা রহমান এসেছিলেন। রবীন্দ্ৰ সংগীত পরিবেশন করে তিনি আমাদের মনোরঞ্জন করেছিলেন। এবার আসছে ‘মেড থিয়েটার’। আমরা আশাবাদী, শিল্প ও সাহিত্যের আদান-প্ৰদানের মাধ্যমে দুটি দেশের মধ্যে সম্পৰ্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে।’
অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে ড. সৌমেন ভারতীয়া জানান, এর আগেও ‘মেড থিয়েটার’ তাদের নাট্য-প্ৰদৰ্শন করতে অসমে এসেছে। একই পরিবারকে কেন্দ্ৰ করে এ ধরনের একটি নাট্যগোষ্ঠী পৃথিবীতে বিরল। তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত, মেড থিয়েটার প্ৰযোজিত এই দুই নাটক দৰ্শকদের কাছে জনপ্রিয় হবে।
ড. সৌমেন আরও জানান, আগামী ৩ জুন শনিবার সন্ধে ৫:০০টায় ‘অ্যান ফ্ৰ্যাংক’ এবং ওই দিনই সন্ধ্যা ৬:৩০টায় রবিঠাকুরের ‘দ্বিতীয় বিজয়া’ নাটক মঞ্চস্থ হবে। বাংলা থিয়েটারে কনিষ্ঠ মনো অ্যাক্ট শিল্পী আরিয়া মেঘদূত ‘অ্যান ফ্ৰ্যাংক’ শীৰ্ষক একক অভিনয় করবেন। নাটকের পরিচালক এবং লেখক আসাদুল ইসলাম এবং সোনিয়া হাসান রবীন্দ্ৰনাথ ঠাকুরের ‘দ্বিতিয়া বিজয়া’য় অভিনয় করবেন।
ওই অনুষ্ঠানে বাংলা নাটকে অসামান্য অবদানের জন্য অশোক চক্ৰবৰ্তীকে জীবনব্যাপী সাধনা পুরস্কার প্ৰদান করবে ব্যতিক্রম। ওইদিনের অনুষ্ঠানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌমেন ভারতীয়া।
বাংলাদেশের আসাদুল ইসলামে বলেন, ‘১২ বছর আগে যখন রবিঠাকুরের ১৫০-তম জন্মবাৰ্ষিকী পালিত হয়েছিল তখন আমি প্ৰথম নাটকটি মঞ্চস্থ করার কথা ভেবেছিলাম। নানা সমস্যার সম্মুখিন হওয়ায় নাটকটি মঞ্চস্থ করতে দীর্ঘ ১২ বছর কেটে গেছে।’ এই দুই নাটক দৰ্শকদের সামনে প্ৰদৰ্শন করার সুযোগ করে দেওয়ায় গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী উচ্চায়ুক্ত এবং বিশেষ করে ব্যতিক্ৰম মাসডোকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান আসাদুল।

