‘
কলকাতা, ১৮ মে (হি. স.) : বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করেছিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সেই ছবির উপরে নিষেধাজ্ঞায় সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিতেই পাল্টা আক্রমণ করলেন শাসকদল তৃণমূল ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। তুললেন তাঁকে ‘বেলাগাম’ বলার প্রসঙ্গ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৮ মে ছবিটি প্রদর্শনে এ রাজ্যে নিষেধাজ্ঞা জারির পরেই সেটা রাজ্যের ‘বেঠিক’ সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছিলেন শুভাপ্রসন্নবাবু। এর জন্য দলীয় তরফে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। অনেকেই ‘বেলাগাম’ বলেছিলেন।
রাজ্যের নিষেধাজ্ঞার ১০ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালত স্থগিতাদেশ দিল। অর্থাৎ, রাজ্যে এই ছবি দেখায় আপাতত আর কোনও বাধা রইল না। সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পর মুখ খুললেন শাসকদলের ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য। জানিয়ে দিলেন, শীর্ষ আদালতের এই আদেশে তিনি খুশি।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে প্রথম থেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন শুভাপ্রসন্ন। সেই অসন্তোষ তিনি গোপনও করেননি। নিষেধাজ্ঞা জারির পরের দিনই শিল্পী বলেছিলেন, ‘‘আমি কোনও শিল্পপ্রচেষ্টার বিরোধিতা পছন্দ করি না। এ ক্ষেত্রে আমি সমর্থন করতে পারছি না।’’ শুভাবাবুর এই বিরোধিতার পর তৃণমূলের তরফে তাঁকে থামানোর চেষ্টাও করা হয়। প্রথমে ফোনে ‘ধমক’ এবং পরে তাঁকে প্রসন্ন করতে শিল্পীর বাড়িতে যান তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিন্তু কোনও চেষ্টাতেই চিঁড়ে ভেজেনি।
রাজ্যের নিষেধাজ্ঞায় সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পর শুভাবাবুকর কাছে প্রতিক্রিয়া চাইলে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘যে কোনও শিল্পীরই স্বাধীনতা থাকা উচিত। আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের শৃঙ্খলা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করেই ছবিটি হয়তো বন্ধ করেছিলেন। কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, এটা ঠিক নয়। আমি এখনও মনে করি, ছবিটি যাঁরা দেখার, তাঁরা দেখবেনই। যাঁরা বর্জন করার, তাঁরা তা-ই করবেন। এই স্বাধীনতা থাকলে ভাল।’’