সিউড়ি, ১১ মে (হি.স.): সিউড়িতেই একমঞ্চে সভা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । এদিন দুই নেতাই অনুব্রত মণ্ডলকে তীব্র আক্রমণ শানান। সেইসঙ্গে বাম-কংগ্রেস দু’দলেরই বক্তব্য, অনুব্রত মণ্ডলকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমকে লুঠের এপিসেন্টার বানিয়েছিলেন। কিছুটা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের লোকজনের খাতায়, আর বাকিটা গিয়েছে কালীঘাটে।
এদিন অধীর বলেন, ‘বীরভূমের বাঘ আগে মাছ, মাংস খেত। এখন সেই বাঘের দাঁত পড়ে গিয়েছে। সে এখন হালুয়া খায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই বাঘকে দিয়ে দিদিমণি অনেক কিছুই করিয়েছিলেন। আজ সেই বাঘ তিহাড়ের মেঝেতে বিশ্রাম নিচ্ছে!’
সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য সেলিম বলেন, ‘পাড়ায় পাড়ায় একটা করে এইরকম বীর কেষ্ট তৈরি করেছিল তৃণমূল। একটা কেষ্টকে জেলে পাঠালে হবে না। তৃণমূল কেষ্টদের জেলে পাঠাতে হবে।’ সিউড়িতে যখন অধীর-সেলিমরা সভা করেন তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রাও বীরভূমেই রয়েছে। এদিন তা নিয়েও কটাক্ষ করেন সেলিম ও অধীর। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘দিদির এখন একটা চিন্তা। তা হল খোকাবাবু ভাল করে খেল কিনা, এসি ঠিকঠাক চলছে কিনা, রান্না হল কিনা, পুলিশ মোতায়েন করা হল কিনা ইত্যাদি। আর কোনওদিকে তাঁর মন নেই।’
নাম না করে অভিষেকের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে সেলিম বলেন, ‘এই বীরভূম থেকে বালির টাকা উঠত, পাথরের টাকা উঠত। তা যেত কালীঘাটে। এখনও উঠছে, তবে কম। তাই জমিদার এখন নায়েব মশাইদের নিয়ে সব জেলায় ঘুরছেন খাজনা ঠিক মতো যাতে তোলা যায় তাঁর ব্যবস্থা করতে।’ সেলিম, অধীরের এ হেন চাঁচাছোলা আক্রমণ নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এমন দুই দলের দুই নেতা বীরভূমে ভাষণ দিতে গিয়েছেন যাঁদের দলকে বাংলার মানুষ মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছে। তাই ওঁরা কী বললেন তাতে কিছু যায় আসে না।’তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বাম-কংগ্রেসের যৌথ সভা। এর আগে সাগরদিঘি ভোটের সময়ে কিছু সভায় বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব ছিলেন। গেছিলেন সেলিমও। তবে সেখানেও একমঞ্চে অধীর-সেলিমকে দেখা যায়নি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিচুতলায় জোটের বার্তা দিতেই এই সভা বলে মনে করছেন অনেকে।