আগরতলা, ৮ মে (হি. স.) : করোনা মহামারীর প্রকোপে ত্রিপুরার পর্যটন ক্ষেত্র অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়েছে। এই ক্ষেত্রকে আবারও পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ট্যুর অপারেটর, হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসার সাথে জড়িত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। মূলত, দেশী, বিদেশী, ধনী-গরীব সকল অংশের পর্যটকদের কাছে ত্রিপুরার আকর্ষণ বৃদ্ধিতে জোর দিতেই এদিনের বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পর্যটন মন্ত্রীর সাফ কথা, বচনে, ভাষণে সীমাবদ্ধ না থেকে পর্যটকদের যাতায়াত, নিরাপত্তা, থাকা-খাওয়ার সুবিধা সহ সমস্ত কিছুর সুবন্দোবস্ত থাকা আবশ্যক।
এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় পর্যটন শিল্পের যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই, এই ক্ষেত্রে বিকাশের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে। সেই পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, পর্যটন শিল্পের বিকাশের সাথে কর্মসংস্থান এবং জীবন-জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে। তাই, পর্যটকদের কাঙ্ক্ষিত পরিষেবা প্রদানে সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর মতে, ত্রিপুরায় পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে এবং পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড সহ হোটেল, রিসোর্ট ব্যবসার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের সাথে সমন্বয় রেখে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যেতে হবে। তেমনি পর্যটন দফতরের আধিকারিকদেরও সমস্ত সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ত্রিপুরায় বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ পর্যটনকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সে মোতাবেক ত্রিপুরা সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। তাঁর দাবি, পর্যটন ক্ষেত্রে ধনী-গরীব পর্যটক হিসেবে ভেদাভেদ করলে হবে না। আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল পর্যটকদের কম দামে পরিষেবা প্রদান করতে হবে।
তাঁর সাফ কথা, ভ্রমনপিপাসু মানুষের কাছে ত্রিপুরার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের আকর্ষণ বেড়েই চলেছে। তাই, পর্যটকদের যাতায়াত, নিরাপত্তা, থাকা-খাওয়ার সুবিধাসহ সবকিছুর সুবন্দোবস্ত থাকা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। শহর, নগরগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা ইত্যাদি নিশ্চিত করা গেলে ত্রিপুরায় পর্যটনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আশা করা যেতে পারে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, পর্যটনের সাথে জড়িত সমস্ত ব্যবসায়ী, ট্যুর অপারেটরদের সরকার সব সহায়তা করবে।