শিলচর (অসম), ৭ মে (হি.স.) : রবিবার সকাল এগারোটা থেকে মেহেরপুর শিবালিক পার্ক দুর্গা মান্ডব প্রাঙ্গনে বিভিন্ন মাধ্যমে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী পালনে সূচনা করা হয়। মাঙ্গলিক পঞ্চ প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির শুভারম্ভ করেন শিবালিক পার্ক ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভাপতি ওমকারনাথ রায়, শিলচর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডাঃ ভবতোষ রায়, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য, কাবুগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ দেবাশীষ পাল, উক্ত কমিটির সাংস্কৃতিক উপ সমিতির আহ্বায়ক অঞ্জন স্বামী প্রমূখরা ।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ সহ রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন শেষে ৭০ জন বিভিন্ন বয়সের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, বিকেল ৩-১৫ মিনিটে আবৃত্তি ও ৪-৪৫ মিনিটে রবীন্দ্রনৃত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
তিন দিন ব্যাপী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মজয়ন্তী পালনের উক্ত সাংস্কৃতিক উপ সমিতির আহ্বায়ক অঞ্জন স্বামী বক্তব্যে কার্যসূচী সম্পর্কে বলেন, ৮ মে সোমবার বিকেল ৪-৪৫ বিকেলে থাকবে রবীন্দ্র সংগীত প্রতিযোগিতা এছাড়াও ৭ মে সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় রবীন্দ্রনাথের” ডাকঘর “গল্প অবলম্বনে একটি নাটক পরিবেশন করা হবে। এই তিন দিনব্যাপী সন্ধ্যাবেলার অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও আমন্ত্রিত শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে অনুষ্ঠান।২৫ শে বৈশাখ তথা ৯ মে শিবালিক পার্ক মহিলা সংগঠনের বিশেষ উদ্যোগে সকাল ছয়টা ত্রিশ মিনিটে প্রতিবারের মতো প্রভাত ফেরি ও সকাল আটটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে এবং রাত ৮-৩০ মিনিটে থাকবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
সভাপতি ওঙ্কারনাথ রায় বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সঙ্গীতকার, চিত্রশিল্পী, নাট্যকার, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক। এক কথায় বহুমুখী প্রতিভার সম্বন্বয় ঘটেছিল তাঁর বর্ণময় দীর্ঘ কর্মজীবনে। তবুও তাঁর কবি পরিচিতিই তাঁকে বিশ্ববরেণ্য করে তুলেছিল আর তাই রবীন্দ্রনাথকে ভূষিত করা হয়েছিল ”বিশ্বকবি” বা ”কবিগুরু” নামে।
ডাঃ ভবতোষ রায় বক্তব্যে বলেন,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধুমাত্র বিশ্ব সাহিত্যে তাঁর রত্নস্বরূপ অবদানের জন্যই বিখ্যাত নন, মানব কল্যাণে তাঁর গভীর চিন্তাভাবনার জন্যও বিখ্যাত যার প্রতিফলন তাঁর সমগ্র জীবনের কাজের মধ্যে পাওয়া যায় ।
ডাঃ দেবাশীষ পাল বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সবসময়ই সত্যের দিকে চেয়েছেন, তার ভিতরের সৌন্দর্য কে খুঁজে বের করেছেন । তিনি বলেছেন, “সত্য ছাড়া সৌন্দর্যের অস্তিত্ব নেই।”রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন উক্ত কমিটির সদস্য তথা বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সুদীপ্ত দেবরায় এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন নিম্মি চক্রবর্তী।