কলকাতা, ৪ মে (হি. স.) : শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় নিম্ন আদালতের পর এবার কলকাতা হাইকোর্টেও প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই। হাইকোর্ট জানতে চাইল, যে বা যারা এই মামলার মূল সুবিধা ভোগী, তাঁরা কি গ্রেফতার হয়েছেন?
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পরেশ অধিকারী ও অঙ্কিতা অধিকারী গ্রেফতার হয়েছে কি না, নাম না করে সেই নিয়েও সিবিআইয়ের কৈফিয়ত চাইল হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের আদালতে এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের জামিনের আবেদনে এবার হাইকোর্টে সিবিআই প্রশ্নের মুখে।
এই মামলায় যেহেতু জালিয়াতির ধারা যুক্ত হয়েছে, তাই মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয় সিঙ্গেল বেঞ্চ। যদিও তার আগে সিবিআইকে বিচারপতির প্রশ্ন, সিবিআই এতদিন তদন্ত করছে, তাহলে মূল সুবিধা ভোগীদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি? ধৃত অভিযুক্তর থেকে কী কী তথ্য ও নথি পাওয়া গেছে? তাদের বিরুদ্ধে কী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? আর কতদিন সময় লাগবে এই তদন্ত শেষ করতে?
চার্জশিটেও নাম নেই ধৃতের। শুধু সহায়ক চার্জশিটে নাম দেবে বলে কী এই ভাবে সিবিআই আটকে রাখার আবেদন করতে পারে? আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চাট্যার্জির অভিযোগ, আব্দুল খালেকের নাম এফআইআর বা চার্জশিটে নেই। অথচ তাকে ৭৬ দিন ধরে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মূল ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই।
এদিকে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি চালায়। কলকাতায় কাউন্সিলরের বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই।