আগরতলা, ২৮ এপ্রিল (হি.স.) : বর্তমান প্রজন্মই ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা নেবে। তাঁদের দক্ষতা এবং অভিনবত্বের মাধ্যমেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ত্রিপুরার মুখ উজ্জ্বল হবে। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের গুনগত শিক্ষা প্রদানের জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বর্তমান ত্রিপুরা সরকার। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে স্কুল স্টুডেন্টস ২০২২-এর বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা:) মানিক সাহা।
সাথে তিনি যোগ করেন, গত পাঁচ বছরে ত্রিপুরায় ছাত্রছাত্রীদের পাশের হার অনেকাংশে বেড়েছে। ২০১৮ সালে উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৭০.৫৮ শতাংশ। তা ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৪৫ শতাংশ। তেমনি, ২০১৮ সালে জনজাতিদের পাশের হার ছিল ৬৪.১৮ শতাংশ। তা ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬.৫৩ শতাংশ।
তাঁর দাবি, উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালে মাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৫২ শতাংশ। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১.০২ শতাংশ। তেমনি জনজাতিদের পাশের হার ছিল ৩৭.৩০ শতাংশ। তা 2022 সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬.৫৫ শতাংশ।
তাঁর মতে, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা এবং রাষ্ট্রভাবনার জন্য আকৃষ্ট করতে হবে। এদিন, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ২৫টি বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ভালো ফলাফল করার জন্য মোট ২০২ জন ছাত্রছাত্রীদের আই প্যাড ও শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে।

