পেচারথল, ধর্মনগর ও কৈলাসহর রেল সংযোগ দ্রুত স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী : পরিবহণ মন্ত্রী

আগরতলা ,২১ এপ্রিল (হি.স.): পেচারথল, ধর্মনগর ও কৈলাসহর রেল সংযোগ স্থাপনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শুক্রবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তারঁ দাবি, এই রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে কেন্দ্র ১৮৫৫ কোটি টাকা রেলওয়ে বোর্ডের কাছে পাঠিয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন, আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনকে আন্তর্জাতিকমানে রূপান্তরে ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনে আসছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

এদিন সুশান্ত চৌধুরী আশা প্রকাশ করে বলেন, আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানের রূপান্তর করার জন্য জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রাজ্য সফর করবেন। ওই সফরে তিনি আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনের আন্তর্জাতিকমানে রূপান্তরের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করবেন।

পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, বাধারঘাটে আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে এসকেলেটর সহ অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত করে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরের জন্য কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট কনসালটেন্সি ফার্ম এবং নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে(এনএফআর) তত্ত্বাবধানে ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে। সাথে তিনি যোগ করেন,  বিলোনিয়া থেকে ফেনী পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের বিষয়েও রেল মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

এদিন পরিবহণ মন্ত্রী দাবি করেন, আগরতলা-আখাউড়া নতুন রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে এবং বাংলাদেশের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার খুলবে।

এদিন তিনি কটাক্ষ করে বলেন, সিপিএমের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারের শাসনব্যবস্থায়  সাধারণ মানুষকে সর্বদা বোকা বানানো হয়েছিল। তাঁরা দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও ত্রিপুরাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে আন্দোলনের প্রয়োজন হয়নি।

তাঁর দাবি, পেচারথাল, ধর্মনগর ও কৈলাশহরের মধ্যে রেল সংযোগ স্থাপনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডঃ মানিক সাহা আন্তরিকতার সাথে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রেলের আধিকারিকদের অবিলম্বে ওই কাজ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। রেলপথ নির্মাণে সমীক্ষা সমাপ্ত হওয়ার পথে এবং এই প্রকল্পের জন্য ১৮৫৫ কোটি টাকা রেলওয়ে বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে, janan তিনি।