BRAKING NEWS

বড় মাথার কাজ, গ্রেফতারে দেরি হলে লতিফকে সরিয়ে দিতে পারে, রাজু ঝাঁ খুনে মন্তব্য অর্জুন সিংয়ের

দুর্গাপুর, ৭ এপ্রিল (হি.স.): ‘ রাজু ঝাঁ কে খুন করা সোজা নয়। খুন হয়ে গেছে। যারা খুন করে মনে করছে, তামাশা দেখব। বেঁচে যাবো। তাঁরা শান্তিতে থাকতে পারবে বলে মনে হয় না।’ শুক্রবার দুর্গাপুর বিধাননগরে রাজু ঝাঁ র বাড়ীতে এসে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজু ঝাঁ’য়ের গ্রাম্য আত্মীয় তথা সাংসদ অর্জুন সিং। একই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন,” সাতদিন পরও রাজু ঝাঁ খুনে অধরা আততায়ীরা। ছোট মাথার কাজ নয়। বড় মাথার কাজ। লতিফ ধরা না পড়লে, লিঙ্ক কাটতে তাকেও সরিয়ে দিতে পারে।’
সঙ্গত, গত ১ এপ্রিল ভর সন্ধ্যায় ১৯ জাতীয় সড়কের ওপর শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবের কাছে দুস্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় রাজেশ ওরফে রাজু ঝাঁ(৫২)। গুলিতে জখম হয় তার এক সহকর্মী। ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে জখম ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। এদিন সন্ধ্যায় একটি ফরচুনা গাড়ীতে রাজু ঝাঁ কলকাতা যাচ্ছিল। শক্তিগড়ের কাছে দুস্কৃতিরা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। কমবেশী ৬ টি গুলি লাগে রাজুর দেহে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বর্ধমান জেলাপুলিশের বিশাল বাহিনী। ঘটনার কারন নিয়ে ক্রমশ রহস্যের দানা বাঁধতে শুরু করেছে রাজ্যজুড়ে। ঘটনার সাতদিন পরও অধরা আততায়ীরা। অপরাধীদের ধরতে মরিয়া রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। গঠন হয়েছে সিট। ইতিমধ্যে ঝাড়খন্ডে আততায়ীদের খোঁজ চালাচ্ছে তদন্তকারী দল। তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। প্রথমত, গরু পাচার চক্রে যাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিবিআই, সেই অনুব্রত ঘনিষ্ট আব্দুল লতিফকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছিল? জানা গেছে, রাজু ঝাঁয়ের গাড়ীতে দুটি ব্যাগ ছিল। ঘটনার পর ওই ব্যাগগুলি কি করে উধাও হল বা কোথায় গেল। আরও প্রশ্ন, যে লতিফ কে সিবিআই খুঁজছে, সে কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল? ঘটনার পর, লতিফের গাড়ী চালক নুর ও রাজু র সহকর্মী ব্রতিন কে হঠাৎ ছেড়ে দেয় পুলিশ। প্রশ্ন,ঘটনার পিছনে কি ব্যাবসায়িক শত্রতা? না, গরু কয়লা পাচার চক্রের পর্দা ফাঁসের আতঙ্কের নেপথ্য? রাজু ঝাঁ খুনে কাদের হাত রয়েছে কার্যত, সেই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তাবত খনি ও শিল্পাঞ্চলে। শুক্রবার রাজু ঝাঁর দুর্গাপুর বিধাননগরে বাড়ীতে এসেছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং। গত ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর এই অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজু ঝাঁ। যদিও এদিন রাজু ঝাঁর পরিবারে দেখা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্জুন সিং বলেন,” রাজু র সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক। বিহারে আমাদের দুজনের দেশের বাড়ী খুব কাছাকাছি। আমি যখন বিজেপিতে ছিলাম। তখন রাজু বিজেপিতে আসে। পরে গ্রেফতার হওয়ার পর রাজনীতিতে তাঁর কোন যোগাযোগ ছিল না। এখন তৃণমূলে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই চেষ্টা করছিলাম। তার মধ্যে এই ঘটনা। পরিবারের পাশে আছি।” ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “রাজু ঝাঁ’কে খুন করা সোজা নয়। খুন হয়ে গেছে। যারা খুন করে মনে করছে, তামাশা দেখব। বেঁচে যাবো। তাঁরা শান্তিতে থাকতে পারবে বলে মনে হয় না।”
তিনি আরও বলেন,” সাতদিন পরও রাজু ঝাঁ খুনে অধরা আততায়ীরা। ছোট মাথার কাজ নয়। বড় মাথার কাজ। লতিফ একটা লিঙ্ক। তাকে গ্রেফতার জরুরি। লতিফ ধরা না পড়লে, লিঙ্ক কাটতে তাকেও সরিয়ে দিতে পারে।’

ঘটনার কারন ও পুলিশি তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন,” পুলিশ যদি চায়, আর অপরাধীদের ধরা যাবে না। এটা হাস্যকর। তদন্তে দেরি হওয়ার কারন হতে পারে অনেক বড় চক্রব্যুহের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। অনেকটা লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে তদন্তকারীরা। সম্পুর্ন ঘটনার তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত হয়তো প্রকাশ করতে চাইছে না পুলিশ। তবে পুলিশের ওপর ভরসা আছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *