নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ এপ্রিল৷৷ বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু এক ঠিকা শ্রমিকের৷ মৃত শ্রমিকের নাম গোপাল নমঃ৷ ঘটনা কাঞ্চনপুর মহকুমার মাকুমছড়া এলাকায়৷ ত্রিপুরা মিজোরাম জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজে নিযুক্ত বহিঃ রাজের ঠিকেদারি সংস্থা বাম্বু কোম্পানী৷ দীর্ঘ দিন যাবত এই রাস্তা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা৷ সেই রাস্তা নির্মাণের ফলে রাস্তার পাশে থাকা বৈদ্যুতিন খুঁটি গুলি সরানো আবশ্যক হয়ে পড়ে৷ কাঞ্চণপুর থেকে জম্পুইহিলের মনপুই যাওয়ার রাস্তায় জলের ট্যাঙ্ক সংলগ্ণ বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করতে গিয়ে রবিবার মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এক অস্থায়ী শ্রমিকের৷ জানা জায় মাটি ধবসে বৈদ্যুতিন খুটি হেলে পড়ে৷ আর এই হেলে পড়া খুটি থেকে পরে গুরুতর আহত হয় অস্থায়ী শ্রমিক গোপাল নমঃ৷ তাঁকে উদ্ধার করে কাঞ্চণপুর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে৷ নিহত শ্রমিকের বাড়ি মাকুমছড়া এলাকায়৷ কাঞ্চণপুরের নেতাজীনগর এলাকার বাসিন্দা ঠিকেদার সনদ নাথের অধীনে কাজ করেন এই অস্থায়ী শ্রমিক৷
এদিকে, কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা লাটে উঠেছে৷ হাসপাতালে দক্ষ চিকিৎসকের অভাব রয়েছে৷ রাজ্য সরকার এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে অনুরোধ জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ৷ উত্তর জেলার কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগীদের পরিষেবা লাটে উঠেছে৷ রয়েছে চিকিৎসকের অভাব৷ সার্বিক জনস্বার্থে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা জনিত ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালে৷ অল্প বিস্তর আহত হলেও তড়িঘড়ি করে স্থানীয় চিকিৎসকরা জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেন রোগীদেরকে৷ এমনই অনেক অভিযোগ থাকলেও এদিকে কোনরকম নজর দিচ্ছেন না স্থানীয় অধিকর্তারা৷ কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা শুধুমাত্র রোগীদেরকে ভর্তি করে রেফার করার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন৷ দক্ষ চিকিৎসকের অভাবেই বারবার এমনই অভিযোগ উঠছে কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালের দিকে৷ গতকাল সরকারি লাইসেন্সবিহীন ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে জম্পুই সড়কে বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতের লোহার খুটির চাপা পড়ে মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয় গোপাল নমঃ নামে এক শ্রমিকের৷ এদিনের এই ঘটনাটি সংঘটিত হয় রবিবার সকালে জম্পুই এর ওয়াটার পয়েন্ট এলাকায়৷ সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনা স্থল থেকে আহত অবস্থায় শ্রমিক গোপাল নমঃকে কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷৷ ততক্ষণে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ কিন্তু ওই মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্তের জন্য কোন চিকিৎসক ছিল না হাসপাতালে৷ চিকিৎসকের অভাবে সোমবার ওই মৃত শ্রমিকের ময়নাতদন্ত হয়৷৷ তবে জানা গিয়েছে সোমবার সকাল থেকেই মৃত ব্যক্তির পরিবারের মানুষ এসে সারা দিনব্যাপী অপেক্ষা করে বেলা তিনটা নাগাদ ময়না তদন্তের পর মৃত শ্রমিকের মৃতদেহটি বাড়ি নিয়ে যান৷ তবে এ কোন নতুন বিষয় নয়৷৷ প্রতিনিয়ত এভাবেই চলছে কাঞ্চনপুর মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা৷
2023-04-03

