কুমারঘাটে বিভিন্ন সরকারি অফিসে কর্মসংসৃকতি লাটে, আচমকা সফর করে অসন্তোষ প্রকাশ মন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ এপ্রিল৷৷  সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনেই কুমারঘাটের বিভিন্ন  সরকরি দপ্তরে  আচমকা পরিদর্শনে গিয়ে  চক্ষু চমক গাছ মন্ত্রী সুধাংশু দাসের৷  রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কর্মসংসৃকতি লাটে উঠেছে৷ মন্ত্রী সুধাংশু দাস সোমবার কুমারঘাট এর বিভিন্ন সরকারি দপ্তর আচমকা পরিদর্শনকালে এই চিত্রই প্রত্যক্ষ করলেন৷ কুমারঘাট এর অর্থ দপ্তর ডিডাব্লিউএস এবং বিদ্যুৎ নিগমের অফিসে গিয়ে মন্ত্রী লক্ষ্য করেন ৮০ শতাংশ কর্মচারী ও অফিসাররা অনুপস্থিত৷ তাতে তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করেন তিনি৷ অফিস পরিদর্শন কালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী সুধাংশু দাস জানান তার কাছে গত বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল কুমারঘাট এর বিভিন্ন অফিসে সরকারি কর্মচারীরা মর্জিবাফিক আসা-যাওয়া করছেন৷ জনগণ নানা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন৷ সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে মন্ত্রী সুধাংশু দাস সোমবার কুমারঘাট এর পূর্ত দপ্তর জলসম্পদ দপ্তর এবং বিদ্যুৎ নিগমের অফিস পরিদর্শন করেন৷ পরিদর্শন কালে সরকারি অফিসের কর্ম সংসৃকতি প্রত্যক্ষ করে তিনি তীব্র  অসন্তোষ প্রকাশ করেন৷ সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী জানান কুমার ঘাটে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের অনেকেই শুক্রবার দুপুরের পর আগরতলায় কিংবা অন্যত্র তাদের বাড়ি করে চলে যান৷ সোমবার পর্যন্ত আর অফিসে আসেন না৷ সপ্তাহে বড় জোর দু-তিন দিন তারা দায়িত্ব পালন করছেন৷ মন্ত্রী বলেন বর্তমান সরকার সরকারি অফিসে কর্মসংসৃকতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ কিন্তু একাংশের অফিসার ও কর্মচারী সরকারের বদনাম করার লক্ষ্যেই এ ধরনের কাজকর্মে লিপ্ত হয়েছে৷ যারা সরকারি নিয়ম নীতি লংঘন করে অফিস কামাই করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান৷ মন্ত্রী সুধাংশু দাস বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং দপ্তর প্রধানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন৷ তিনি জানান অন্যান্য অফিস গুলিতেও তিনি আচমকা সফর করে কর্মসংসৃকতি খতিয়ে দেখবেন৷